Advertisement


যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ



এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে দায়িত্বরত কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানী বাংলাদেশ লিমিটেডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পরিচালন) মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন- 'নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের কাজের অংশ হিসেবে ১০ গত আগস্ট থেকে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। বিদেশি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজ যেহেতু শেষ হয়েছে, তারা কয়েকদিনের মধ্যেই চলে যাবেন। যাওয়ার আগে তারা সবকিছু দেখে যাচ্ছেন। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কিছু নিয়মিত ইন্সপেকশন থাকে। কিছু রিপেয়ার থাকে, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের কাজ থাকে। যন্ত্রের কিছু টুকটাক সমস্যা থাকেই। সবকিছু তারা চেক করে ছোটখাটো যে ত্রুটিগুলো ছিল তা ঠিকঠাক করে দিয়েছেন।
শুক্রবার আমরা একটি ইউনিটের মেশিন স্টার্টআপ করেছি। কাল সেই ইউনিট থেকে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবো। ওই ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৬০০ মেগাওয়াট।'

তিনি বলেন- 'দুইদিন পরে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের  আরেকটি ইউনিটও চালু হবে। এত বড় মেশিন একসাথে চালু করা যায় না। ধাপে ধাপে এটি চালু করতে হয়। কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে একটি ইউনিটের মেশিন পুরোপুরি চালু হতে প্রায় ৩৫ ঘণ্টা সময় লাগে।'

মহেশখালীর মাতারবাড়িতে জাপানের ঋণসহায়তায় ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়। ৬০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার দুটি ইউনিট আছে এ কেন্দ্রে।মূলত আমদানি করা কয়লা দিয়েই বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় সেখানে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫১ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা। সূত্র: দৈনিক কক্সবাজার।।