Advertisement


কালারমারছরা ইউপি নির্বাচন: দুইপক্ষের রশি টানাটানি...


মহেশখালী কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে রশি টানাটানি শেষ হচ্ছেনা। একপক্ষ চাচ্ছে পূর্ব নির্ধারিত ২২ মার্চ নির্বাচন সম্পন্ন করতে।
আরেকটি পক্ষ এ নির্বাচন অবৈধ দাবি করে তা স্থগিত করতে তৎপর রয়েছে। এ নিয়ে সাধারণ ভোটার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা পড়েছেন দু’টানায়। অনেকে সঠিক সময়ে নির্বাচন হওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন। তবে, আদালতের নির্দেশনার কারণে এ নির্বাচন যে কোনো সময় স্থগিত হতে পারে বলেও ধারণা করছেন ওয়াকিবহালমহল।
সূত্র মতে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পান আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম চৌধুরী। পরে তার মনোনয়ন বাতিল করে প্রয়াত ওসমান চেয়ারম্যানের পুত্র তারেক বিন উসমান শরীফকে ২২ ফেব্রুয়ারী দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী ২২ মার্চ কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের দিন ঠিক করা আছে। কিন্তু এই নির্বাচনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২৭ ফেব্রুয়ারি উচ্চ আদালতে আপিল করেন সেলিম চৌধুরী। আপিল নং-১০/২০১৬ এবং ১১/২০১৬।
মামলার প্রেক্ষিতে ৩ মার্চ কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন এক মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ছৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগির হোছেন এবং এ.কে. এম শহীদুল হক।
আদালতের এই আদেশে কেন কালারমারছড়া নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করা হবেনা তা জেলা নির্বাচন অফিসার এবং উপজেলা রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে আদেশের বাস্তবায়ন বিষয়েও জানাতে বলা হয়েছে। সে হিসেবে আগামী ১৭ মার্চ জবাব দাখিলের শেষ দিন।
কিন্তু এখনো আদালতের ওই নির্দেশনা বাস্তবায়নে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা কোনো সদিচ্ছা দেখাচ্ছেনা বলে অভিযোগ তুলেছে মামলার বাদীপক্ষ।
এদিকে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছেনা অভিযোগ তুলে রবিবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ছৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগির হোছেন এবং এ.কে. এম শহীদুল হকের বেঞ্চে আরেকটি আবেদন করেন সেলিম চৌধুরী।
আবেদনটি ওই দিনই শুনানী করা হয়েছে।
আজ সোমবার রায়ের দিন ধার্য করা হয় বলে জানা গেছে। বাদী পক্ষের শুনানীতে অংশ নেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা।
আদালতের নির্দেশনা কেন বাস্তবায়ন করছেনা জানতে চাইলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেছবাহ উদ্দিন বলেন, আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা দরকার। সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছ সিদ্ধান্ত চাওয়া হয়েছে। কমিশনের নির্দেশনার আলোকে ব্যবস্থা নেয়া হবে।