Advertisement


চেয়ারম্যান তারেককে অভিযুক্ত করে কোটা সংস্কারের রাশেদের স্টাটাস, পরে মুছে ফেলেছেন নিজেই !

বিশেষ প্রতিবেদক

গত শুক্রবার কালারমারছড়ায় নিজ বাড়ি থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দিয়ে তুলে নেয়ার পাঁচদিন পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রেদওয়ান ফরহাদ ও তার বড় ভাই রাশেদ খান মেননকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে আজ। আর এ ঘটনায় ইউনিয়নটির চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে উল্লেখ করে তাকে বিচারের মুখোমুখি করার আহবান জানিয়ে ফেইসবুকে স্টাটাস দিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম নেতা মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন। এ ঘটনায় শুরু থেকেই সরব বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের এই নেতা মি. তারেককে কুলাঙ্গার অবহিত করে ফেসবুকে লিখেন, “ এই সে কুলাঙ্গার যে ফরহাদ ও তার ভাইকে জঙ্গি বানিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলো। ওর বিরুদ্ধে বড়সড় একটা আন্দোলন চাই। ওর মতো কুলাঙ্গারদের কিছু করতে না পারলে ওরা আরও মাথাছাড়া দিয়ে উঠবে।
এদের মত কীটদের কারণে অকালে ঝরে যেতে পারে কিছু নিরীহ প্রাণ....... “

অবশ্য পরে সেই স্টাটাস ডিলিটও করে দেন কোটা সংস্কারর এই নেতা।

এদিকে চেয়ারম্যান তারেককে অভিযুক্ত করে দেয়া তার ঐ স্টাটাসের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মহেশখালী নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। স্থানীয়দের মত, ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়া ছাত্র ফরহাদ, তার পরিবার বা গোষ্ঠীর সাথে চেয়ারম্যানের কোন বিরোধ নেই। তাছাড়া ছেলেটি পড়াশোনা করেন ঢাকায় । কেন চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার হলো তা তাদেরও বোধগম্য নয়।

অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করে, চেয়ারম্যান তারেক মহেশখালীর সব খবর কে বলেন, “এটা প্রশাসনের বিষয়। এখানে আমার কিছু নেই । প্রশাসন জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে যেকাউকে তাদের প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যেতে পারে। এখানে চেয়ারম্যানের কোন বিষয় নেই। এটা সর্ম্পূর্ণ আমার বিরুদ্ধে তাদের প্রোপাগান্ডা।”

ছাড়া পাওয়ার পর ফরহাদ জানিয়েছে, তাকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হয়। কোন প্রকার নির্যাতন করা হয়নি।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিদারুল ফেরদৌস জানান, ‘দুই ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আপাতত জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ”