Advertisement


শিক্ষাকে সর্বজনীন করে তোলাই লক্ষ্য, বললেন প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকারের আমলে দেশে মেধা বিকাশের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। মেধাবীরা এগিয়ে যেতে পারছে। এছাড়া, দেশে নারী শিক্ষার প্রসার ঘটেছে।

প্রাথমিক শিক্ষা বৃত্তি ট্রাস্টের উপদেষ্ট‍া কমিটির বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বুধবার (২০ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সভাপতিত্বে ট্রাস্ট কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তার সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে জাতির জনকের যে স্বপ্ন ছিলো তা বাস্তবায়ন করে চলেছে।

সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন শিক্ষাকে সর্বজনীন করে তোলাই তার সরকারের লক্ষ্য।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মুস্তাফিজুর রহমান ফিজার, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদসহ সংশ্লিষ্ট সিনিয়র সচিব ও সচিবরা এই সভায় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে জাতির জনক সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন শিক্ষাকে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় তার সরকার ক্ষমতায় এসে ১৯৯৬ সালে আর পরবর্তী সময়ে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে পাঁচ বছরে দেশে স্বাক্ষরতার হার ৪৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ শতাংশ করে। কিন্ত ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে তা ফের আগের অবস্থায় নিয়ে যায়। আর ২০০৯ সালে আবার ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে ফের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন মেধাবীরা এগিয়ে যাচ্ছে, নারী শিক্ষাকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। আর নারীদের উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত বৃত্তির আওতায় আনা হয়েছে।

ট্রাস্টে ১০০০ কোটি টাকা সিড মানি দেওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দরীদ্র মেধাবীরা যাতে উচ্চশিক্ষা পায় উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে পারে সে লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ। ট্রাস্ট ফান্ডে অর্থ সরবরাহ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

শিক্ষার ব্যাপারে অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা এসেছে, স্বল্প আয়ের বাবা-মায়েরাও তাদের সন্তানকে এখন স্কুলে পাঠাচ্ছে, যা একটি ইতিবাচক পরিবর্তন, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষা জোরদার করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।