গুলি বর্ষণ, উত্তেজনা
বড় মহেশখালীর শীর্ষ সন্ত্রাসী ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তালিকাভুক্ত আসামি আবু তাহের ওরফে ঘাউয়্যা অবশেষে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। গতকাল শেষ দুপুরে এই গ্রেফতারের ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তার বাহিনীর লোকজন এলাকায় গুলি বর্ষণ করে ত্রাস চালায় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, উপজেলার বড় মহেশখালী ফকিরাকাটা এলাকার আব্দুল গফুর প্রকাশ গুরামিয়ার পুত্র আবু তাহের ওরফে ঘাউয়্যা অতি অল্প সময়ের মধ্যে সন্ত্রাসের গড়ফাদারে পরিণত হয়। বিগত সময় তার নিকট আত্মিয় ও বড় মহেশখালী যুবলীগ সভাপতি নুরুল আবছারের উপর মধ্যযোগীয় কায়দায় নির্মম হামলা চালিয়ে চোখ উপড়ে নেওয়ার ঘটনার পর বেশী আলোচনায় চলে আসে এই ঘাউয়্যা। অভিযোগ রয়েছে দিন দুপুরে চোখ উৎপাটন অপারেশনের মূল নায়ক ছিল এই ঘাউয়্যা। এক সময় ঘাউয়্যা এলাকায় হাল্কা শালিস বিচার করত, বিভিন্ন জনের তদবীর নিয়ে আসত থানা কোর্টে। পরে লবণ মাঠ দখলসহ বিভিন্ন ইস্যুতে অপরাধ জগতে পা রখে এই যুবক। এই কাজে এলাকার একটি প্রভাবশালী চক্রের বহুবিদ সুবিধা গ্রহণ করে। প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া চালিয়ে একের পর এক অপরাধ করতে থাকে। এনিয়ে হত্যাসহ বেশ কিছু মামলার অংশিদার হয় এই যুবক। পুলিশ জানিয়েছে এ পর্যন্ত দুইটি হত্যাসহ ৫ টি মামলা খুজে পাওয়াগেছে তার বিরুদ্ধে। তবে অপর একটি সূত্র জানিয়েছে তার বিরুদ্ধে মোট ৮ টি মামলা রয়েছে। মহেশখালী থানার ওসি(ইনভেস্টিগেশন)দিদারুল ফেরদৌস জানান গতকাল শেষ দুপুরে পুলিশ বড় মহেশখালীর বড় ডেইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবু তাহের ওরফে ঘাউয়্যাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পুলিশ দীর্ঘ দিন থেকে এই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। ঘাউয়্যা পুলিশের তালিকাভুক্ত একজন সন্ত্রাসী। এদিকে ঘাউয়্যাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হলে এলাকায় তার লোকজন ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে ত্রাস সৃষ্টি করে। তার গ্রেফতারের পেছনে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি সোর্স হিসেবে কাজ করেছে বলে সন্দেহ করে তাদের উপর চড়াও হয়। এই ঘটনায় ১ জন গুলিবিদ্ধ হয় বলে প্রাথমিক ভাবে জানাগেছে। এদিকে খবর পয়ে পুলিশ ঐ এলাকায় অভিযানে গেলে সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপর হামলা চালাতে চেষ্টা করে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এই ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।