সিরাজগঞ্জে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ সাংবাদিক আবদুল
হাকিম শিমুল হত্যার ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার ভোররাতে
এজাহারভুক্ত আসামি আওয়ামী লীগ নেতা নাসিরসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে মেয়র পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা যায়নি।
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, আসামিদের আদালতে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে নিহত সাংবাদিকের স্ত্রী কামরুন নাহার বাদী
হয়ে মামলা করেন। মামলায় শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র হালিমুল হক মীরু ও তাঁর
দুই ভাইসহ ১৮ জনকে আসামি করা হয়।
শাহজাদপুর থানার ওসি জানান, মামলায় পৌর মেয়র হালিমুল হক মীরু, তাঁর দুই
ভাই ছাত্রলীগ নেতা হাসিবুল হক পিন্টু এবং পাবনা জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক
হাবিবুল হক মিন্টুকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও
যুবলীগ নেতাদের নাম আসামির তালিকায় রয়েছে।
এরই মধ্যে মেয়রের দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া মেয়রের শর্টগানটি জব্দ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র হালিমুল হক
মীরুর ছোট ভাই হাসিবুল হক পিন্টু শাহজাদপুর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক
সভাপতি বিজয় মাহমুদকে মারপিট করেন। বিজয় মাহমুদকে মারপিটের ঘটনার প্রতিবাদে
বিকেলে এলাকাবাসী মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি মেয়রের
বাসার সামনে পৌঁছালে কতিপয় লোক মেয়রের বাসা লক্ষ্য করে ঢিল মারে। একপর্যায়ে
মেয়র তাঁর ব্যক্তিগত শর্টগান থেকে গুলিবর্ষণ করেন।
ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে দৈনিক সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আবদুল
হাকিম শিমুলসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় গতকাল দুপুরে বগুড়া
থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে দুপুর ১টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় এলাকায়
সাংবাদিক শিমুল মারা যান। এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ শনিবার শাহজাদপুরে আধা বেলা
হরতালের ডাক দেওয়া হয়েছে। এই হরতাল চলছে। আচল হয়ে পড়েছে সমগ্র এলাকা। এমন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে।