Advertisement


মাতারবাড়ির জিয়াবুল হত্যাঃ মূল আসমি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্লাহ



মাহবুব রোকন||

কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে যুবলীগ নেতা জিয়াবুল হক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দীর্ঘ ৬২ ঘণ্টা পর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের স্ত্রী ময়না মুক্তা। নানা জল্পনা কল্পনা শেষে শরিবার দুপুরে মহেশখালী থানায় মামলা রেকর্ড হয়। ইতোমধ্যে এ মামলা ৬ নারীসহ ৮ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ বলছেন -তাকে আসামি করার বিষয়টি ষড়যন্ত্রমূলক।
শনিবার রাত সাড়ে ৮ টায় মহেশখালী থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন -মামলার লিখিত আবেদনে মাতারবাড়ির ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহকে হত্যাকা-ের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার এজাহারে ২০ জন আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে ১ নম্বার আসামি করা হয়েছে মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহকে। তাছাড়া এ এজাহারে  ৫ থেকে ৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে মোট ২৬ জনের বিরুদ্ধে এ মামলাটি দিয়েছেন নিহতের স্ত্রী ময়না মুক্তা। মামলাটি তদন্ত করছেন মহেশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম। তিনি জানান -ইতোমধ্যে মামলার এজাহারে উল্লেখ থাকা ৮ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদেরকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

প্রসঙ্গতঃ প্রসঙ্গতঃ বুধবার বিকেল ৪ টার দিকে মাতারবাড়ির বাজার এলাকায় সন্ত্রাসীরা যুবলীগ নেতা জিয়াবুলের উপর হামলা করে তার দু’হাত কেটে দেয়। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ওই দিন রাত ১০ দিকে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। সে সময় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় মাতারবাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহর নেতৃত্বেই তাকে খুন করা হয়েছে। জিয়াবুল মাতারবাড়ি যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক। এদিকে এ ঘটনার দীর্ঘ ৬২ ঘণ্টা পর মহেশখালী থানায় এ মামলাটি হয়। মামলায় প্রভাবশালী এ চেয়ারম্যানকে আসামি হচ্ছে কিনা তা নিয়ে জেলাজুড়ে চলছিল নানা আলোচনা।

এদিকে হত্যা মামলায় আসামি হওয়া প্রসঙ্গে মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন -তাকে আসামী করার বিষয়টি ষড়যন্ত্রমূলক। এলাকার ডাকাত ও ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অস্থান নেওয়ায় সন্ত্রাসীরা জোটবদ্ধ হয়ে দলের কিছু দোষকৃতকারি স্থানীয় নেতার ইন্ধনে তাকে আসামি করা হয়েছে।