Advertisement


মহেশখালীর পাহাড়ে আবারও পুলিশ-সন্ত্রাসী বন্দুকযুদ্ধ। ৫ পুলিশ আহত। সন্ত্রাসী করিমের মরদেহসহ বিপুল গুলি ও বন্দুক উদ্ধার




কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় আবারও পুলিশ-সস্ত্রাসীবন্দুকযুদ্ধে ঘটনা ঘটেছে। ঘণ্টাব্যপী চলা এ বন্দুকযুদ্ধে অন্ততঃ ৫ পুলিশ আহত হযেছে। ঘটনাস্থল থেকে মাহমুদ করিম নামের এক যুবকের মরদেহসহ বিপুল গুলি ও বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে। এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পুলিশের তরফে অন্ততঃ ৬০ রাউন্ড গুলি ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানাগেছে।

রোববার ভোরে ছোট মহেশখালীর পাহাড়ি এলাকায় ঘটনা ঘটে।

মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস জানান - রোববার ভোরে একদল সন্ত্রাসী ছোট মহেশখালীর পাহাড়ে গোপন বৈঠক করছে মর্মে পুলিশের কাছে খবর আসে। পরে দ্রুত পুলিশ ওই স্থানে অভিযান চালায় সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশ দল লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়ে, পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। ঘটনায় আহত হয় পুলিশ সদস্যও। সময় অন্য সন্ত্রাসীর পালিয়ে যেতে পারলেও পুলিশ আহত অবস্থায় এক যুবককে উদ্ধার করে মহেশখালী হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে ডাক্তারগণ ওই যুবককে মৃত ঘোষণা করেন। তার নাম মাহমুদ করিম ওরফে মাক্করি। বয়স অনুমানিক ৩২ বছর। তিনি ছোট মহেশখালী দক্ষিণকুল এলাকার  জনৈক মোহাম্মদ ইউসুফ আলীর পুত্র। এদিকে ওই স্থান থেকে পুলিশ ৮টি বন্দুক, ২০ রাউন্ড গুলি ২টি কিরিচ দুই হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন এসআই দিপক, এএসআই সনজিব, কনস্টবল আফতাব, কনস্টবল ইব্রাহিম মহিউদ্দিন। আহতদের মহেশখালী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কনস্টবল আফতাবের আঘাত বেশী হওয়ায় তাকে জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান -মহেশখালীর পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের এক ধরণের অবস্থান রয়েছে। মহেশখালী থানা পুলিশ সন্ত্রাসীদের এ অবস্থান ভাঙতে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান শুরু করেছে। সন্ত্রাসীদের ভিত্তি শেষ না হওয়া পর্যন্ত পুলিশের এ অভিযান চলবে বলে জানান তিনি। মহেশখালী হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তা ডা. সাজ্জাদ হোসেন জানান -সকালে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য হাতে ও পায়ে গুলিবিদ্ধ অস্থায় হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নেন।