Advertisement


নিউজ ভিশন ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা

গত ২১ আগস্ট নিউজ ভিশন নামের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহেশখালীতে থেমে নেই লম্পট করিমের অপকর্ম” শীর্ষক সংবাদের  তীব্র প্রতিবাদ ও ব্যাখা জানিয়েছেন ডিজিটাল আইল্যান্ড মহেশখালী প্রকল্পের আওতায় উপজেলা সমাজসেবা অফিসের পরিচালনায় আইটি সেন্টারের মাস্টার ট্রেইনার মাহমুদুল করিম ৷

লিখিত (স্বাক্ষরিত) এক প্রতিবাদলিপিতে তিনি জানান -‘‘ মহেশখালী সমাজসেবা অফিসের আওতায় পরিচালিত কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে বিগত তিন বছর পূর্বে মাষ্টার ট্রেইনার হিসেবে আমি নিয়োগ প্রাপ্ত হই ৷ নিয়োগ প্রাপ্তির পর হতে সততার সাথে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব আজ অবধি পালন করে আসছি ৷ সাম্প্রতিক সময়ে কিছু সংখ্যক কুচক্রী মহল আমার সম্মানহানী করতে উঠেপড়ে লেগেছে ৷ তারই ধারাবাহিকতায় বেশ কয়েকদিন যাবত নিউজ ভিশন ওয়েবসাইট এবং এ অধ্যক্ষরের জনৈক ব্যক্তির ফেইসবুক আইডি হতে কুরুচিপূর্ণ ও চরম মানহানিকর মিথ্যে বানোয়াট সংবাদ ও তথ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে আমার বিরুদ্ধে বিরুপ ধারণা সৃষ্টি করেছে ৷ রিপোর্টার তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, যৌন হয়রানী থেমে নেই ৷ লজ্জায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা ৷ এই প্রসংগে আমি বলতে চাই, আমার অধীনে মহেশখালীর বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষিকা, সরকারি বেসরকারি চাকরিজীবী, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা সফলতার সাথে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ৷ আমার যদি নৈতিকতার দিক দিয়ে কোন সমস্যা থাকতো, যৌন হয়রানি মূলক কারো সাথে কোন আচরণ করতাম, তাহলে কেউনা কেউ অভিযোগ করতো, আমার বিরুদ্ধে মুখ খুলতো ৷ আমি যদি কারো সাথে অনৈতিক আচরণ করতাম, তাহলে এতোজন প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতোনা ৷ আমার বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে কেনো অভিযোগ করা হলোনা? জনৈক রিপোর্টার তাদের নাম উল্ল্যেখ করার কেনো সাহস করলোনা? জনৈক রিপোর্টার তার ফেইসবুক পোস্টে উল্লেখ করেছেন, অন্যের স্ত্রীকে নিয়ে তিনমাস যাবত স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে ভাড়া বাসায় থেকেছি ৷ পরকিয়া প্রেমে লিপ্ত হয়েছি ৷
পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় ৷

কুতুবদিয়া হতে আমি মহেশখালীতে চাকরির সুবাধে বসবাস করে আসছি ৷ আমার কর্ম পরিধির বাইরে তেমন কারও সাথে আমার পরিচয় নেই ৷ তিনমাস ধরে যদি আমি অন্যের স্ত্রীকে নিয়ে স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করতে থাকি, তাহলে ঐ স্ত্রীর স্বামী কেনো তার স্ত্রীকে তিনমাস যাবত আমার সাথে থাকতে দিলেন? তিনমাস যাবত তার বিয়ে করা বউকে কেনো অন্যত্র থাকতে দিলেন? তিনি কেমন স্বামী, তার স্ত্রীকে যদি আমি রেখে দিই ৷ তাহলে কেনো কিনি আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করলোনা? মামলা করলোনা? জনৈক রিপোর্টার কার স্ত্রী কি তার পরিচয় তা কেনো উল্ল্যেখ করলোনা? তিনি তার পোস্টে সমাজসেবা অফিস এবং আমাদের অফিসারকে জড়িয়ে অসম্পূর্ণ ও মানহানীকর তথ্য পরিবেশন করেছেন ৷

মূলতঃ তিনি আমাদের অফিসারকে যখন মৌখিকভাবে অভিযোগ করে, আমাদের অফিসার লিখিত অভিযোগ জানাতে বললে তিনি বা কেউ লিখিত অভিযোগ জানাতে পারেননি ৷ ফোনে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ জানাতে পরামর্শ দিলেও কেউ অভিযোগ করেননি ৷ এই রিপোর্টার কেনো আমার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছেন তা বর্ণনা করছি ৷

এ অধ্যক্ষরের ব্যাক্তিটি প্রায় সময়ে সমাজসেবা অফিসে নানান মানুষের বিভিন্ন বিষয়ে তদবির করতে আসেন ৷ তার স্বভাবগত কারণে কোর্টে মামলা চলা একটি বিষয়ে তদবির করতে আসেন ৷ যার তদন্তভার সমাজসেবা অফিসকে কোর্ট হতে দেওয়া হয় ৷ ওই ব্যাক্তিটি ঐ মামলাটির রিপোর্ট তার তদবির করা লোকের পক্ষে দিতে অফিসে সুপারিশ করেন ৷ সমাজসেবা অফিসার তার সুপারিশে পাত্তা না দিয়ে এমন অনৈতিক তদবির নিয়ে অফিসে না আসতে বারণ করেন ৷ অফিসার হতে পাত্তা না পেয়ে তিনি মোটা অংকের টাকার অফার করে তার পক্ষে রিপোর্ট দিতে আমাকে সুপারিশ করতে বলেন ৷ আমি অফিশিয়াল সিস্টেমের বাইরে কথা বলতে পারবোনা বলে জানিয়ে দিলে তিনি আমার উপর ক্ষ্যাপে যান, এবং দেখে নিবে বলে হুমকি প্রদর্শন করেন ৷ যা সম্পূর্ণ বেআইনী। সুপারিশ তদবিরে ব্যার্থ হয়ে জনৈক লোকের ইন্ধনে তিনি প্রতিশোধের নেশায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে প্রপাগান্ডা, মানহানিকর সংবাদ, ফেইসবুক পোস্ট করে আসছেন ৷

আমাকে যদি পুলিশ ধরে নিয়ে যায়, তাহলে থানায় আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ নাই কেনো? কেনো তিনি বা কোন সংবাদ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে তখন সংবাদ প্রকাশ করা হয়নি? তার ভাষ্যমতে এতোবড় একটি ঘটনা তো ধামাচাপা দেওয়ার মতো নয় ৷ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার মতো এমন কোন ক্ষমতাবান ব্যাক্তিও আমি নয় ৷

আমার বিরুদ্ধে মানহানিকর মিথ্যে সংবাদ প্রকাশের বিষয়ে কথা বলতে উক্ত ওয়েবসাইটের মালিক সম্পাদককে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি ৷ আমার পরিচয় জানিয়ে সম্পাদকের ফোনে টেক্সট মেসেজ দিয়েও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি ৷

এমন মিথ্যা ও উদেশ্যপ্রনোধিত সংবাদের কারণে আমি, আমার পরিবার ও আমার অফিস আর্থিক ও সামাজিক ভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে হয়েছে। আমাকে ও আমাদের অফিসকে জড়িয়ে মিথ্যে বানোয়াট মানহানিকর সংবাদ পরিবেশন, ফেইসবুক পোস্টের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি ৷ সেইসাথে প্রকাশিত সংবাদ ও ফেইসবুক পোস্টের কারণে আমাদের বিশাল ক্ষতির কারণে অফিশিয়ালী এর বিরুদ্ধে দ্রুত সময়ে ব্যাবস্থা গ্রহণ সহ মানহানি মামলা করার প্রস্তুতি গ্রহণ করছি ৷

আমার সকল বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, পরিচিতজন, শুভাকাংখী, ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি ৷ আপনারা কেউ এমন বানোয়াট ভিত্তিহীন কুরুচিপূর্ণ মিথ্যে সংবাদে বিভ্রান্তি হবেননা ৷

প্রতিবাদকারীঃ
মাহমুদুল করিম
মাষ্টার ট্রেইনার, ডিজিটাল আইল্যান্ড আইটি সেন্টার
কম্পিউটার অপারেটর,
উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় মহেশখালী।




আমাদের সম্পাদকীয় নীতির অবস্থান থেকে সংশ্লিষ্ট পক্ষের এ লিখিত বক্তব্যের কিছু অংশ (শব্দ ও বাক্য) বাদ দিয়েই বিবৃতিটি প্রকাশ করা হলো। -মহেশখালীর সব খবর।