Advertisement


তিন টাকায় চাকরি দিয়ে প্রশংসিত পুলিশ সুপারকে নিয়ে ষড়যন্ত্র কক্সবাজারবাসী মেনে নিবে না


এম আমান উল্লাহ আমান
কক্সবাজারে তিন টাকা দিয়ে পুলিশে চাকরি দেওয়া প্রশংসিত পুলিশ সুপারকে নিয়ে বিভিন্ন জনে ভিন্নরকম ষড়যন্ত্র করে আসছে  মনে করে কক্সবাজারের সিনিয়র সাংবাদিক আমান উল্লাহ আমান ফেইসবুক স্টেটাসদেন। ফেইসবুক স্টেটাসটি পাঠকদের সুবিদার্থে হুবহু তুলে ধরাহল।
টেকনাফে চাঞ্চল্যকর মেজর৬ সিনহা হত্যাকাণ্ড নিয়ে অভিযুক্ত টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক লিয়াকতসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলার তদন্তভার পড়েছে কক্সবাজার RAB ১৫ এর হাতে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে এটা আমরা কক্সবাজারবাসী সকলেই চাই।
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমারের বিরুদ্ধে যদি হাজার অভিযোগ থাকে, সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওসির বিচার হোক সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে।
কক্সবাজার জেলার স্বনামধন্য মাননীয় পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন মহোদয়কে নিয়ে যারা বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্রের নীলনকশা তৈরি করেছে, তাদের বিশেষভাবে চিন্তা করা উচিত, কক্সবাজার জেলা বাসীর জন্য পুলিশ সুপারের অবদান কখনো কেউ অস্বীকার এবং ভুলতে পারবেনা। মাত্র ৩ টাকার বিনিময় তিনি কক্সবাজারের শিক্ষিত ছেলেদের পুলিশে ভর্তি হওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স বিশেষভাবে অবদান রেখেছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক চিহ্নিত ইয়াবা গডফাদার হাজী সাইফুল এর মত মানুষের বিচার নিশ্চিত করেছেন। মাননীয় পুলিশ সুপারের যদি ধন-সম্পদের প্রতি আসক্ত থাকত, তাহলে তিনি হাজির সাইফুল থেকে শত কোটি টাকা নিতে পারতেন। একজন পরিচ্ছন্ন, সৎ ও নিষ্ঠাবান পুলিশ সুপারকে নিয়ে নানান মহলের এমন ষড়যন্ত্র বড়ই দুঃখজনক।
একটা সময় আমরা দেখেছি, কক্সবাজারের কিছু সাংবাদিক অবৈধ দাপটের সাথে মাদক কারবারিদের কাছ থেকে অবৈধ টাকা নিয়ে সম্পদ গড়ে তুলেছে, প্রকৃতপক্ষে খোঁজ নিলেই জানা যাবে তাদের পারিবারিক আয় এর উৎস কতটুকু। আজ সেই সাংবাদিকরা মাননীয় পুলিশ সুপারকে নিয়ে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
প্রত্যেক দলের রাজনীতিবিদদের মধ্যে কিছু কিছু ভালো এবং খারাপ রয়েছে। আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এমন কিছু ব্যাশ্যা রয়েছে যারা বর্তমানে দাবি করে তারা অনেক বড় রাজনীতিবিদ।
যে সমস্ত অফিসারগণ প্রশাসনে চাকরিরত রয়েছেন, শুধুমাত্র তারাই জানেন- কত কষ্টের মাধ্যমে দেশের মানুষকে শান্তিতে রাখার জন্য নিরলসভাবে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এমনকি ঈদ অথবা পারিবারিক যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন না। কারণ দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যান। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখেন। আমার বাবাও ছিলেন একজন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য । আমি নিজের চোখে দেখেছি কতটা পরিশ্রম এবং কষ্ট দেশের জন্য তিনি করেছেন।
পুলিশ সুপার মহোদয়ের একনিষ্ঠ ভূমিকা যদি না থাকতো তাহলে আজকে হয়তো কক্সবাজারে মাদক ও সন্ত্রাস এর ছড়াছড়ি থাকতো। পত্রপত্রিকায় আজকের দিন পর্যন্ত বিভিন্নভাবে প্রকাশিত হতো মাদক ও সন্ত্রাসীদের রাজত্ব কিন্তু পুলিশ সুপারের বিশেষ অবদানের জন্য আজকে আমরা জেলাবাসী পরম শান্তিতে দিনযাপন করতে পারছি। এমন একজন সৎ ও ন্যায় পরায়ন পুলিশকে নিয়ে অহেতুক ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্র কখনো কাম্য নয়।
বাংলাদেশ সেনা প্রধান এবং পুলিশের প্রধান কক্সবাজার এসে যৌথভাবে বলেছেন, মেজর সিনহা হত্যাকান্ড যে জড়িত সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তার বিচার নিশ্চিত হবে। কিন্তু এখনো তদন্ত চলাকালীন কিছু রাজনীতিবিদ এবং হলুদ সাংবাদিকদের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ খুবই লজ্জাজনক। দেশের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ পুলিশ একনিষ্ঠভাবে কাজ করে চলেছে। এটা গর্বের বিষয়। প্রতিটি প্রশাসনিক ডিপার্টমেন্টের অবদান অতুলনীয়। তদন্ত রিপোর্ট না আসার আগেই মাননীয় পুলিশ সুপারকে নিয়ে অহেতুক মন্তব্য এটা প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছুই নয়।
মূল বিষয়বস্তু হলো, ডিপার্টমেন্টের একজন যদি চরমভাবে দোষ করে থাকেন, তার দোষ এর ভার কখনো পুরা ডিপারমেন্ট নিবে না। নিজের ব্যক্তিগত অপরাধের শাস্তি অবশ্যই সে পাবে, এটাই সকলে চাই। ভাবতে খুব দুঃখ লাগে এবং কষ্ট হয়, কক্সবাজার আসার পর থেকে পুলিশ সুপার মহোদয়ের যে সমস্ত অবদান রয়েছে তা কখনো কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। সম্প্রতি কক্সবাজার শহর পুলিশ ফাঁড়িতে একটি অনৈতিক ঘটনার কারণে তিনি বেশ কয়েকজন পুলিশকে সাসপেন্ড করেছেন, এতেই কিন্তু বোঝা যায় তিনি কতটা সৎ এবং নিষ্ঠাবান।
পরিশেষে একটি কথাই বলবো, যে ব্যক্তি দোষ করবে শাস্তি একমাত্র তিনিই পাবে। অধীনস্থ একজন কর্মীকে নিয়ে জেলার সুযোগ্য মান্যবর পুলিশ সুপারকে কখনো দোষী সাব্যস্ত করবে, এটা সত্যি নেক্কারজনক এবং বড়ই হতাশার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত টিমের মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত হোক এটাই আমার প্রত্যাশা।
লেখক : এম আমানউল্লাহ আমান
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক দৈনিক গণসংযোগ

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি
জাতীয় দৈনিক আমাদের অর্থনীতি, আমাদের নতুন সময়।