Advertisement


মহেশখালীতে ঘাটে মাল উঠা-নামা নিয়ে হাতাহাতি; সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ


নিজস্ব প্রতিনিধি।।

মহেশখালীর কালারমারছড়ার ইউনুস খালীর বনকাটা ঘাটে মির আখতার কোম্পানি, আরএসডি ও অন্যান্য কোম্পানির পাথর, বালু সহ অন্যান্য  মালামাল সামগ্রী লোড-আনলোড করতে গিয়ে  শ্রমিকের সাথে হাতাহাতি হয়েছে। এতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্র মনছুর (২৪) আহত হয়েছে। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে তাৎক্ষণিক ছাত্রলীগ নেতা মনছুরের নেতৃত্বে ইউনুসখালী প্রধান সড়কে টায়ার জালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তারা।

জানাযায় আজ শুক্রবার সকালে বনাকাটা ঘাটে ছাত্রলীগ নেতা মনছুর ও তার সহযোগীরা মালামাল লোড-আনলোড করতে গেলে ঘাটে কাজ করা শ্রমিকেরা বাধা দেয়। এতেই বিপত্তি ঘটে। 

ঘাটে কাজ করা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শ্রমিক বলেন, এখানে এতদিন আমরা কাজ করতেছি কোন সমস্যা হয়নি আজ সকালে আরেকটি পক্ষ এসে কাজ করতে চাইলে তো হবে না আমাদের সাথে বসে তো কথা বলতে হবে। 

খোজ নিয়ে জানাযায় বনকাটা ঘাটে শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ করে কালারমারছড়া ইউনিয়ন শ্রমিকলীগ। তাদের অধীনে যাবতীয় শ্রমিকের কাজ করে থাকে। এবিষয়ে কালারমারছড়া ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি মোস্তফা বলেন, “এখানে শ্রমিক লীগের নিয়ন্ত্রণে এত দিন সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে শ্রমিকেরা কাজ করে আসছে। আজ হঠাৎ করে কোন কথাবার্তা ছাড়া এভাবেই কাজ করলে তো হবে না।আমাদের তো শ্রমিকের বিষয়টি দেখতে হয়। তাই এবিষয়ে ও আমরা সাংগঠনিক ভাবে নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ রাখছি বলে জানান।”

ছাত্রলীগ নেতা মনছুর বলেন, “আমরা মালামাল লোড-আনলোড করার কাজ পেয়েছি।তাই সকালে কাজ করতে গেলে আখতারুজ্জামান বাবু মেম্বারের ভাই রিপনসহ তার লোকজন আমার উপর অর্তকিত হামলা চালায়।” এর জন্য আইনের হস্তক্ষেপও কামনা করেন তিনি।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার আখতারুজ্জামান বাবুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “সকালে বনাকাটা ঘাটে শ্রমিকদের সাথে মনছুর নামে এক ব্যক্তি হাতাহাতি ঘটনা শুনে সাথে সাথে পুলিশকে জানিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে গিয়ে দেখি মনছুর সহ তার লোকজন শ্রমিকদের কাজ করার ঝুঁড়ি কেটে ও নদীতে ফেলে দেয়।এই ঘাটে সরকারী কাজে অনেকের মামামাল লোড-আনলোড হয়। তাই এখানে কোন ধরনের বেআইনি কাজ করার সুযোগ নেই। আমি এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসেনর প্রতি অনুরোধ করছি।”

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে কালারমারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির এস আই রহুল আমিন বলেন,“ দুপক্ষের  দুই রকম অভিযোগ পাচ্ছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”