জানাগেছে -ওই দিন জুমার নামাজ শেষে হোয়ানক ইউনিয়নের কালাগাজীর পাড়া নুরীয়া মোজাহেরুল উলুম মাদ্রাসা, রাজুয়ার ঘোনা মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা ও ধলঘাট পাড়া জামে মসজিদ থেকে পৃথক পৃথক ভাবে কয়েকটি মিছিল বের হয়ে হোয়ানকের বড়ছড়া এলাকায় জমায়েত হয়। মহেশখালীতে স্মরণ কালের বৃহত্তম মিছিলটি হোয়ানক টাইম বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ হোয়ানক ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মাওলানা জুনাইদ জারুল্লাহ এর সভাপতিত্বে ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মোনায়েম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী যুব আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও পরামর্শ বিষয়ক সম্পাদক আবুল হাসান রায়হান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পীর সাহেব চরমোনাইর মনোনীত হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আলহাজ্ব মাওলানা ফয়জুল্লাহ সাকী, মাওলানা শহিদুল্লাহ রশিদী, মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম, হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রুহুল আমিন বাবুল, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মহেশখালী উপজেলা শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক আছাদ উল্লাহ হেলালী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ হোয়ানক শাখার সেক্রেটারি মাওলানা রাহমত উল্লাহ, মাওলানা আবুল খায়ের ও মাওলানা সোহাইল সিকদার প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, মুক্ত স্বাধীনতার নামে যারা ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করছেন তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। ফ্রান্স সরকার রসুল (সঃ)কে অপমান করে প্রমাণ করেছে তারা অসভ্য একটি সম্প্রদায়। রসুলের অবমাননা কখনো সহ্য করবো না, দরকার হলে জান দিতে প্রস্তুত আছি। নবীজীর ব্যঙ্গচিত্র এঁকে আমাদের হৃদয়ে আঘাত করা হয়েছে। আমরা তা মেনে নিতে পারি না। এর জন্যে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে ক্ষমা চাইতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে জাতিসংঘের মহাসচিবের নিকট তারা এর বিচার দাবি করেন। এসময় বক্তারা সকল মুসলমানকে ফ্রান্সের পণ্য বর্জনের আহ্বান জানান।