Advertisement


মাতারবাড়িতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সেলিম কুতুব উদ্দিন নেওয়াজ


আমিনুল হক।।
পরিবেশ পরিস্থিতি ঠিক থাকলে আগামী মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হতে পারে মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২য় টুঙ্গিপাড়া খ্যাত মাতারবাড়ীতে। সবার মধ্যে জল্পনা-কল্পনা চলছে   আগামী নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কে পাচ্ছেন ? কে হতে যাচ্ছেন নৌকার মাঝি? সূত্রে জানা যায়, বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক পরিবারের যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি, কক্সবাজার জেলা স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সহ-সভাপতি ছুরতিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক  সেলিম কুতুব উদ্দিন নেওয়াজ সর্বাগ্রে রয়েছেন৷ বর্তমান সরকার মহেশখালীর মাতারবাড়ীকে ২য় সিঙ্গাপুর সিটিতে পরিনত করতে কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সমুদ্র বন্দর সহ একাধিক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। এসব কিছুর বিবেচনায় এবং মাতারবাড়ীর আর্থিক সামাজিক ও সার্বিক উন্নয়নে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একজন পদপ্রার্থী  হিসেবে অধ্যাপক সেলিম কুতুব উদ্দিন নেওয়াজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ (অনার্স) এম.এ পাশ উচ্চ শিক্ষিত সজ্জন ব্যক্তি অধ্যাপক সেলিম কুতুব উদ্দিন নেওয়াজকে নিয়ে ইতোমধ্যে  এলাকাবাসীর মধ্যে সরব আলোচনা চলছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। আরো জানা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজে অধ্যয়ণকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন সেলিম কুতুব উদ্দিন নেওয়াজ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত সম্পূর্ণ আওয়ামী পরিবারের সন্তান সেলিম কুতুব উদ্দিন নেওয়াজ। তার বাবা মরহুম মোস্তাক আহমদ চৌধুরী ছিলেন  মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের একজন সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি ১৯৮৩ সালে মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। তিনি ১৯৭০ সালে মাতারবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাত্রে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করার পূর্বে বঙ্গবন্ধু যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন তখন মাতারবাড়ীতে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন মোস্তাক আহমদ চৌধুরী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট  যখন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মম ভাবে খুন করা হয় তখন তিনি  মাতারবাড়ীতে এর প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ আওয়াজ তুলেছিলেন।  আওয়ামী লীগের দুঃসময়েও তিনি ছিলেন সর্বদা সক্রিয়। ১৯৮৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নৌকা প্রতীকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন মোস্তাক আহমদ চৌধুরী। এছাড়াও অধ্যাপক সেলিম কুতুব উদ্দিন নেওয়াজ এর ছোট মা প্রয়াত  শামীম আরা দুলারী ছিলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এবং ২০০৮ সালে নৌকা প্রতীকে মহেশখালী উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। অধ্যাপক সেলিম কুতুব উদ্দিন নেওয়াজ এর নানী খোরশেদ আরা হক ছিলেন কক্সবাজার সংরক্ষিত আসনের মহিলা এমপি। সম্পূর্ণ একটি আওয়ামী রাজনীতি পরিবারের যোগ্য সন্তান অধ্যাপক সেলিম কুতুব উদ্দিন নেওয়াজকে মহেশখালীর মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের আগামী নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রদানে স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক সহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং মনোনয়ন বোর্ডের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন মাতারবাড়ী বাসী।