Advertisement


ঝাপুয়া মাদ্রাসার পরিচালক মুফতি মাও. রিদোয়ানুল হক এর জানাজায় শোকার্ত মানুষের ঢল

মাদ্রাসার কবরস্থানে শায়িত হলেন 

হোবাইব সজীব এ এক অভূতপূর্ব দৃশ্য! ঈদে যে ঝাপুয়া মাদ্রাসার ময়দান মুখরিত হয় ওঠে হাজার হাজার মুসল্লির পদভারে, আর আজ সেই ঝাপুয়া ময়দান এবার জনসমুদ্রের রূপ নিলো শোকাহত মানুষের উপস্থিততে। চোখে অশ্রু আর নীরব বেদনা নিয়ে হাজার হাজার মানুষ অংশ নিলেন ঐতিহ্যবাহী ও বৃহত্তম কওমি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উপজেলার কালারমার ছড়া ইউনিয়নের ঝাপুয়া আল জামিয়াতুল আশরাফিয়া মাদ্রাসার প্রধান পরিচালক (মুহতামিম), ঝাপুয়া গ্রামের মরহুম মাওলানা মোজাহেরুল হক এর পুত্র মুফতি আলহাজ্ব মাওলানা রিদোয়ানুল হক এর নামাজে জানাজায়।
 
আজ (শুক্রবার) সকাল ১০ টায় নামাজে জানাজা শুরু হলেও সকাল ১০টার মধ্যেই জনসমুদ্রে পরিণত হয় ঐতিহাসিক এই মাদ্রাসা ময়দান। জানাজা শুরু হওয়া পর্যন্ত চলে এই জনস্রোত। শেষ শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা জানাতে আসা বরেণ্য এই আলেমের জানাজার নামাজ তাই হয়ে যায় মহাসমুদ্র। এতো বড় জানাজা এর আগে কখনো দেখেনি কালারমার ছড়ার মানুষ।

জানাজায় অংশ নিতে ফজরের নামাজের পর থেকেই সব শ্রেণিপেশার শোকাহত মানুষের ঢল নামে ঝাপুয়া মাদ্রাসা ময়দান অভিমুখে। সকাল ১০টার দিকেই পূর্ণ হয়ে যায় বিশাল এ ময়দানটি ।শেষবারেরমতো তাঁকে একপলক দেখার জন্য সেখানে আগে থেকেই লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে প্রতীক্ষায় ছিলেন  হাজার হাজার মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।

জানাজার নামাজের আগে পর্যন্ত এই আলেমকে অশ্রুসিক্ত চোখে শেষবারের মতো একনজর দেখতে ভিড় জমান হাজার হাজার মানুষ।

প্রসঙ্গতঃ প্রখ্যাত এ আলেম ১ এপ্রিল বেলা ২ টায় চট্টগ্রাম ন্যাশনাল হসপিটালে চিকিৎসাকালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া-ইন্না ইলাইহে রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিলো (৫৯) বছর।

জানা গেছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিসে ভুগছিলেন। তিনি মৃত্যুকালে ৪ ছেলে ও দুই কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

জানাজা শেষে মাদ্রাসার কবরস্থানে তাঁকে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়। এদিকে জানাজায় যোগ দিতে মহেশখালীর বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন এলাকার মুসল্লি ও দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে লোকজন এসেছে বলে জানাগেছে।