Advertisement


মহেশখালীতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার নামে প্রতারণা, লকডাউন ও রমজানে গ্রাহক হয়রানী

ডিজিএম বলছে লো-বোল্টেজের কারণে সমস্যা হচ্ছে 

রকিয়ত উল্লাহ।।  প্রচণ্ড গরমের কারণে ও রমজানে মহেশখালীতে ধর্মপ্রাণ মানুষের মধ্যে বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তা বাড়লেও এ সময়ে এসে মহেশখালীতে দিনে কমপক্ষে ৪-৫ বারের উপর লোডশেডিং হচ্ছে। আর এতেই অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মহেশখালী উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকেরা। আর এরই মধ্যই আজ সকালে মহেশখালীর পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম কাজী এমদাদুল হক এক ভিডিও বার্তায় মহেশখালীতে নিরবিছন্ন বিদ্যুৎ সেবা প্রদান করা হচ্ছে বলে মিথ্যাচার করে গ্রাহক ঠকাচ্ছেন মর্মে জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন গ্রাহক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। শওকত আলী নামে একজন গ্রাহক বলেন,"পল্লী বিদ্যুতের অনিয়মের শেষ নেই , যেই দায়িত্বে থাকুক কম বেশী সবার চরিত্র এক, দুর্নীতি করা তাদের জন্য মামুলি বিষয়"। ডিজিএম বলছে -ভোল্টেজ স্বল্পতার কারণে একটু লোডশেডিং এর সমস্যা হচ্ছে। 

অন্য একজন গ্রাহক মানিক দে কমেন্ট করে বলেন, "আপনাদের দুর্বলতা এইটা, আপনারা গরিবের ২ মাসের বিল বকেয়া থাকলে, লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেন, আর রাঘব বোয়ালদের বছরের পর বছর জমা থাকলেও কিছু করতে পারেন না। সবই গরিব দের নিয়ে তামাসা করতে পারেন"

আয়ুব খান নামে আরেক জন কমেন্ট করে জানান, বকেয়া বিল গুলো হলো বড় নেতাদের কাছে,  আমরা সাধারণ জনগণের কাছে কোন বিল বাকি নেই। দয়া করে বড় লোকদের কারণে আমাদেরকে বিদ্যুৎ নিয়ে হয়রানি করবেন না ধন্যবাদ ডিজিএম মহেশখালী। 

আজিজুল হক নামে একজন গ্রাহক কমেন্টে জানান,সাধারণ মানুষের  বিদ্যুৎ বিল যদি দুই থেকে তিন মাস বকেয়া  থাকলে লাইন কাটে, না হয় মিটার  খুলে নিয়ে যায়। আর যাদের বেশি বকেয়া  আছে  তাদের নাম প্রকাশ করা হোক বলে জানান। 

এদিকে মহেশখালীর সব খবরে ভিডিও বার্তাটি পোস্ট হওয়ার পর মহেশখালীর বাসিন্দা ও দৈনিক ভোরের কাগজের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি সিনিয়র সাংবাদিক ছৈয়দুল কাদের একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন, এতে তিনি লিখেন -এই মাত্র ভাষণ দিলেন দুর্নীতিবাজ বেষ্টিত মহেশখালী পল্লী বিদ‍্যুতের ডিজিএম। এই ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করেছে কিছু মিডিয়াকর্মী। বিদ্যুৎ চুরি ও বিল অনাদায়ের কারিগর তিনি। গোপনে করেন সাইট লাইন ব্যবসা, । 

ভিডিওটি পোস্ট হওয়ার পর মহেশখালীর অনেক গ্রাহক পল্লী বিদ্যুতের নানা অনিয়ম ও হয়রানীর তথ্য দেন। তারা অভিযোগ করেন এ অফিসটি সব সময় দালাল দ্বারা বেষ্টিত থাকে, দালাল ছাড়া এখানে কোনো কাজই হয় না। অফিসের লোকজনই এ সব দালালদের লালন পালন করে। করোনাকালে রমজানের এই দিনে বিল আদায়ের নামে দারিদ্র মানুষকে নতুন করে হয়রানী শুরু করেছে তারা। এই গরমের দিনে গণহারে বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন করে যাচ্ছে। লকডাউন ও রমজানকে কাজে লাগিয়ে এ নীরব অত্যাচার শুরু করেছে বলে তাদের অভিযোগ। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহেশখালীর পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম কাজী এমদাদুল হক বলেন, ভোল্টটেজ স্বল্পতার কারণে একটু লোডশেডিং এর সমস্যা হচ্ছে, যেটা শুধু মহেশখালীতে না পুরো দেশে এই সমস্যা হচ্ছে। তিনিও আরও জানান, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের সেবা বেড়ে যাওয়ায় গ্রাহকের মধ্যেই  প্রায় ৮কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বলে জানান।