Advertisement


মহেশখালীতে প্রকল্পের দূষিত পানিতে মরে গেছে কোটি কোটি টাকার মাছ


নিজস্ব প্রতিবেদক।।
ঘেরের পাড়ে পাড়ে আছে বলদা চিংড়ি, কাকড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মরা মাছ। অবাক চোখে চেয়ে আছে ঘের শ্রমিক। বিশাল লোকসানে ঘের ইজারায় নেয়া মৎস ব্যবসায়ীরা। হ্যাঁ, এ দুর্লভ চিত্রটি এই মুহুর্ত ঘটছে মহেশখালী উপজেলার কালামার ছড়া নোনাছড়ি এলাকায় পশ্চিমের শুদ্ধখালি চিংড়ি ঘের, আজগর বাপের ঘোনা ও ভরাখালী ঘোনার বিশাল ৩টি চিংড়ি ঘেরে।


এসব চিংড়ি প্রজেক্ট ও ঘেরগুলোতে আকষ্মিকভাবে চলমান মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুুৎ প্রকল্পের পৌর পানি সরবরাহের ট্যাংকের দূষিত পানি ছেড়ে দেয়ায় বিষাক্ত গ্যাস সৃষ্টি হয়ে মরে গেছে প্রায় ২ কোটি ৩০  লাখ টাকার মাছ। এতে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন চিংড়ি ঘের ইজারা নেওয়া মৎস্য ব্যবসায়ীরা।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জমি মালিকদের কাছ থেকে হালসনের টাকা দিয়ে বর্গা নিয়ে ওই চিংড়ি প্রকল্পের শুদ্ধখালী ঘোনা ইজারা নিয়েছে মাছ চাষিরা। ঐ ঘেরের পরিচালক মোহাম্মদ রাশেদ জানান, পূর্ব কোন ঘোষণা ছাড়া  চিংড়ি ঘেরের পাড়েই লোকজন বিষাক্ত ক্যামিক্যাল দিয়ে মাটি সল্টস করায়  নির্মাণাধীন মাটি সল্টটেস ট্যাংকের ক্যামিক্যাল মিশ্রিত দূষিত পানি ওসব চিংড়ি ঘেরে ছেড়ে দেওয়ার ফলে গত ১ সপ্তাহ ধরে চিংড়ি প্রকল্পের পানিতে বিষাক্ত গ্যাসের সৃষ্টি হয়ে প্রকল্পের চাষ করা বাগদাসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় এক কোটি টাকার মাছ মরে ভেসে ওঠে।


মৎস্য চাষি আজগর বাপের ঘের পরিচালক তোফাইল আজম জানান, 'বিষাক্ত পানি পড়ে আমার চিংড়ি প্রকল্পে প্রায় ৯০লাখ টাকার মাছ মরা গেছে। একইভাবে ভরাখালী ঘোনার পরিচালক আনছারুল করিম রুমি বলেন, 'আমার চিংড়ি প্রকল্পের প্রায় ৪০ লাখ টাকার মাছ মরে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তিনি ক্ষতিপূরর্ণের দাবি জানান। অপরদিকে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা বিষয়টি স্থানিয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক এমপি অবহিত করেছেন।

সিপিপি মহেশখালীতে দায়িত্বরত সুপার ভাইজার শাহীন বলেন, 'আমাদের ক্যামিক্যাল বিষাক্ত নই, তবে চাষিরা মাছ মরে যাওয়ায় ক্ষতিপূরর্ণের দাবিতে যে অভিযোগ করেছেন তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

মহেশখালী উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, 'ক্ষতিগ্রস্ত ইজারাদার ও মৎস্য ব্যবসায়ী যাতে যথাযথ প্রক্রিয়ায় ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন সে বিষয়ে অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।