দ্বীপ মহেশখালীর আরেকটি উপ-দ্বীপ ধলঘাটা। বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেষা সমুদ্রের মূল মোহনায় দ্বীপ ধলঘাটার অবস্থান। প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোতে সবচেয়ে বেশী ক্ষতবিক্ষত ও বিলিন হয় এ দ্বীপটি।
নদীপথে দ্বীপটিতে যাতায়াতের একমাত্র জেটিঘাট সাপমারারডেইল জেটিঘাট। যেটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে কয়েক বছর আগে।
জানা গেছে -জেলা পরিষদ কতৃক নির্মিত যে পুরানো জেটি আছে -তা ভাটা হলেই মানুষকে বিপাকে পড়তে হতো। বর্তমানে তাও জরাঝির্ণ হয়ে পড়েছে।
ধলঘাটার ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান জানান -ধলঘাটাবাসীর দুঃখ-দুর্দশার কথা চিন্তা করে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগকারী এসপিএল পেট্রোক্যামিকেল কমপ্লেক্স লিঃ এর এমডি এবং পরিচালক বরাবরে করা আবেদনের প্রেক্ষিতে জেটিটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
জানা যায়, সাপমারার ডেইল জেটি ঘাটটি দীর্ঘ দিনের পুরাতন ও জরাজীর্ণ হওয়ায় জেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দ নিয়ে কয়েকবার সংস্কার করা হলেও তা বার বার নষ্ট হয়ে যায়। পরে জেলা পরিষদ থেকে ২৫ কোটি টাকা ব্যায়ে একটি টেকসই জেটিঘাটের অনুমোদন হলেও টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায় তা আলোর মুখ দেখেনি। অন্যদিকে অর্থনৈতিক অঞ্চল(বেজার) চেয়ারম্যান ও এসপিএল এসপিএল পেট্রোক্যামিকেল কমপ্লেক্স লিঃ বরাবর এলাকাবাসীর পক্ষে থেকে জেটিঘাট নির্মাণের দাবি জানানো হলে অস্থায়ীভাবে প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২২০ মিটার লম্বা ৫৬টি আরসিসি পিলার ও কাট দিয়ে জেটিঘাটটি নির্মাণ করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ দেলোয়ার জানান -একটি জেটিঘাটের জন্য ভাটার সময় বোট থেকে নেমে হাটু পরিমাণ কাদা মাটি মাড়িয়ে কুলে আসতে হতো। জেটি নির্মাণ হওয়ায় আমাদের দীর্ঘ দিনের কষ্ট লাঘব হল।
বেজার এসপিএল পেট্রোক্যামিকেল কমপ্লেক্স লিঃ এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. বেলাল হোসেন মজুমদার জানান -ধলঘাট বাসীর চলাচলের সুবিধা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার কারণে বেজার চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় আমরা জেটিঘাটটি নির্মাণ করে দিই।