নিজস্ব প্রতিবেদক।। কক্সবাজারের মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জনগণের রায়কে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে পাল্টে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াজেদ আলী মুরাদ।
বুধবার বিকেলে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ উত্থাপন করেন। এ ব্যাপারে আইনী লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ওয়াজেদ আলী মুরাদ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ‘মোটর সাইকেল’ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আমিসহ মোট ১১ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করি। সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসারগণ কেন্দ্র ভিত্তিক যে ফলাফল ঘোষণা করেন তাতে আমি ‘মোটর সাইকেল’ প্রতীকে ১১ টি কেন্দ্রে ৫ হাজার ৯০১ টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হই। আমার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি হিসেবে ‘জোড়া পাতা’ প্রতীকে ভোট পান ৫ হাজার ৮২৭ ভোট। ভোটের এই ফলাফল জেলা পুলিশের ‘বিশেষ শাখা’ সহ সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনেও উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু উপজেলা রিটার্নিং অফিসার সোমবার দিবাগত রাত ২ টায় যে ফলাফল ঘোষণা করেন তাতে ‘জোড়া পাতা’ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মির কাশেমকে চেয়ারম্যান হিসেবে জয়ী দেখানো হয়।
তিনি অভিযোগ তুলেন, উপজেলা রিটার্নিং অফিসার ও ও প্রিসাইডিং অফিসারগণ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কতিপয় ক্ষমতাসীন বিশেষ ব্যক্তি মহলের যোগসাজশে আমার নির্বাচনী ফলাফল পাল্টে দিয়েছেন। যা অবৈধ ও বে-আইনি। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে আমি লিখিতভাবে আবেদন করেছি।
ওয়াজেদ আলী মুরাদ মহেশখালী উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক আহ্বায়ক। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হন।