বার্তা পরিবেশক।। সদ্য সমাপ্ত হওয়া মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আলহাজ্ব মোশাররফ হোসেন খোকন সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। ২১ সেপ্টেম্বর বিকেলে কুতুবজোমে ব্যক্তিগত অফিসে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় তিনি গত ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে কয়েকটি ভোট কেন্দ্রের ব্যাপারে গুরুতর অভিযোগ আনেন। খোকন বলেন, কুতুবজোমের কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে নীল নক্সার নির্বাচন হয়েছে। ২,৩ টি ভোট কেন্দ্র থেকে চশমা মার্কার এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে লাল মোহাম্মদ সিকদার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুতুবজোম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কুতুবজোম জামেউস সুন্নাহ দাঃ উলুম দাখিল মাদ্রাসা থেকে চশমা মার্কার নির্বাচনী এজেন্টদের ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়। আলহাজ্ব মোশাররফ হোসেন খোকন আরো বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বি নৌকা মার্কার প্রার্থী মোঃ শেখ কামাল এ নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারদের নিয়ে প্রভাব বিস্তার করে কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে ভোট কেটে নিয়েছে। বিশেষ করে ভোট কেন্দ্রে গুলি করে চশমা মার্কার সমর্থক আবুল কালাম নামে একজন ভোটারকে খুন করেন শেখ কামালের সমর্থকগণ। এ সময় ভয় ভীতি দেখিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট কেটে নেয়া হয়।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, এবার মৃত ব্যক্তিদের ভোটও নিয়েছে নৌকায়। যেমন, লাল মোহাম্মদ সিকদার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ভোটার ছিল ২৯৫৮ জন। এখানে কাস্টিং হয়েছে ২৯০৩ ভোট। তার মানে শতকরা ৯৮.১৪ ভোট কাস্ট করা হয়েছে। অথচ অন্যান্য কেন্দ্রে ভোট কাস্ট হয়েছে শতকরা ৫০% বা ৬০%। যে, মৃত ব্যক্তিরাও ভোট দিয়েছে। ।
তিনি আরো বলেন, শেখ কামাল মাওলানা গফুরকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে তাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেন। যা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শে রাজনীতি করি। পদ পদবীর জন্য রাজনীতি করিনা। তিনি তার সমর্থকদের ধৈর্য্য ধারণ আহ্বান জানিয়েছেন।