Advertisement


কালারমার ছড়ায় অর্থের বিনিময়ে এএসআই এর বিরুদ্ধে মিথ্যে তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ


ফুয়াদ মোহাম্মদ সবুজ।।
মহেশখালীর কালারমার ছড়া পুলিশ বিটের সাবেক এএসআই জহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে নোনাছড়ি ফকিরাঘোনা এলাকার সাইমুন নামে এক যুবককে নিয়ে  মিথ্যা তদন্ত রিপোর্ট দিয়ে অভিযোগকারী সাইমুনের অপরপক্ষের কাছ থেকে অবৈধ অর্থ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগকারী সাইমুন জানায়, গত (২৩ ফেব্রুয়ারি) আমাকে নিয়ে আমার বিবাহিত স্ত্রী ও তার পরিবার কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে একটি মিথ্যে মামলা দায়ের করে৷ পরে তার তদন্তভার মহেশখালী থানার তদন্ত ওসি আশিক ইকবাল হয়ে কালারমার ছড়া ক্যাম্পের সাবেক এএসআই জহির উদ্দিনের কাছে আসে। সে সময় ক্যাম্পের সাবেক এএসআই জহির এসে আমার এলাকাবাসীসহ অনেকের কাছ থেকে জবানবন্দি নিয়ে তদন্ত করে যায়। এক পর্যায়ে সে আমার কাছ থেকে অর্থ দাবি করলে তা দিতে আমি অনিহা দেখালে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে তদন্ত রিপোর্ট দেয়।

সাইমুন আরো জানায়, তদন্ত রিপোর্টে যাদের জবানবন্দি দেখানো হয়েছে তাদের মধ্যে কেবল স্থানীয় ইউপি সদস্য শরিফুল আলম শরিফ ছাড়া আর তেমন কেউ পরোক্ষভাবে আমাদের পারিবারিক বিষয়টি জানেন না। এবং তদন্ত রিপোর্টে আমি স্থানীয় সালিসি প্রক্রিয়া না মানার যে বিষয়টি লিখা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। তাছাড়া জবানবন্দিদাতার অনেকে এএসআই'য়ের লিপিবদ্ধ বক্তব্য দেওয়ার বিষয়ে অস্বীকার করেছেন। সাইমুন বলেন,  লিপিবদ্ধ স্বাক্ষী ৩জনের কাছ থেকে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম যে এমন কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ তারা দিয়েছেন কি না, তাদের তিনজন সরাসরি এমন সাক্ষ্য দেননি বলে জানান।

তথ্য নিয়ে জানা যায়, এএসআই জহির অভিযোগকারী সাইমুনের অনেক প্রতিবেশীর সাক্ষ্য নিয়েও তদন্ত প্রতিবেদনে তাদের একজনের সাক্ষ্যও দেখানো হয়নি৷ বরং  তদন্ত রিপোর্টে যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন তাদের তিনজন সাইমুন-ঝিনুকের ঘটনাটি নিয়ে সম্পূর্ণ জ্ঞাত নয়। এছাড়াও তদন্ত রিপোর্টে সাইমুন-ঝিনুকের কোনো প্রতিবেশীর সাক্ষ্য দেওয়া হয়নি, যারা ঘটনায় সম্পৃক্ত দম্পতির ঘটনা সম্পর্কে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে  জানেন। আরো জানা যায়, সাইমুন স্থানীয় সালিশ কার, মহিলা এমইউপি, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, ও গ্রাম আদালতে বিচার দিলেও ঝিনুকের পরিবার তা মানেননি। এ নিয়ে গ্রাম আদালত আইন লঙ্ঘন নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ একটি সালিসি রোয়াদাদও দিয়েছেন। এদিকে এলাকাবাসীরা জানান, সাইমুন-ঝিনুকের ঘটনা পূণরায় তদন্ত করলে আসল সত্য বেরিয়ে আসবে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত এএসআই জহির উদ্দিন এর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলে ফোন রিচিভ করে কথা না বলায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাছাড়া খোদে বার্তা পাঠিয়েও পাওয়া যায়নি কোনো সাড়া।