Advertisement


মহেশখালী কলেজে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি

 
নিউজরুম।।
মহেশখালী কলেজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগের বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপিও দিয়েছেন একটি পক্ষ। সোমবার কক্সবাজারের বিভিন্ন সংবাদপত্রে এমন একটি খবর প্রকাশ পেয়েছে। 

খবরে বলা হয় -মহেশখালী কলেজে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কর্তৃক ব্যাপক ভাবে অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগে কলেজ পরিচালনা কমিটির যৌথ স্বাক্ষরে মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা, ভাইস-চ্যান্সলর, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ পরিদর্শক, চেয়ারম্যান শিক্ষা বোর্ড ও ডেপুটি কমিশনার বরাবরে লিখিত স্মারকলিপি ও অভিযোগ দায়ের করেছেন।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নিয়মিত গর্ভনিং বডি থাকা সত্বে ও গর্ভনিং বডির সভা অনুষ্ঠান ব্যতিরেখে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ২০/১২/২০২১ইং তারিখের ৪১ তম পাতানো অবৈধ রেজ্যুলেশন দ্বারা সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির জন্য পরিচালক মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা চট্রগ্রাম অঞ্চল বরাবরে যে আবেদন পাঠিয়েছে তা নিয়ম বর্হিভূত, কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর জালিয়তি করে ভূয়া রেজ্যুলেশন বানিয়ে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অনৈতিক সুবিধা নিয়ে এ জঘন্যতম কাজটি করেছে।

এই দুই ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বশীলের কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ। অবৈধভাবে পদোন্নতি মন্জুরীর পাঠানো ফাইল গুলি অবিলম্বে বাতিল করতে এই অভিযোগ পাঠানো হয়। অন্যথায় দুই ভারপ্রাপ্তদের বিরোদ্ধে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারী দিয়েছেন কলেজ পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ।

তারা আরো বলেন, এই দুই ভারপ্রাপ্তদের বহু অপকর্মের মুখোশ উম্মোচন করা হবে। তারা বলেন, দুই ভারপ্রাপ্তরা মহেশখালী কলেজকে ব্যবসায় পরিনত করেছেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিজেই অবৈধ। তাই অবিলম্বে অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন পরিচালনা কমিটি। অত্র কলেজের-৩৯, ৪০ ও ৪১ নং রেজুলেশন দেখানো হয়েছে তাও পুরাপুরি ভূয়াঁ, সরেজমিনে তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে যে বিদ্যোৎসাহী সদস্য সাবেক মেয়র সরওয়ার আজমের স্বাক্ষরের দিন তারিখ দেখানো হয়েছে সেই সময় মেয়র সঙ্গত কারনে এলাকার বাহিরে ছিল।

এ ব্যাপারে কলেজ পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ-বিদ্যোৎসাহী সদস্য সাবেক মেয়র সরওয়ার আজম, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শাহজাহান সিরাজ লিটন, দাতা সদস্য আলতাফ হোসেন, অভিভাবক সদস্য জসিম উদ্দিন, অভিভাবক সদস্য ছিদ্দিক নুরী, অভিভাবক সদস্য আব্দু রহিম বাদশা ও কো-অপ্ট সদস্য ডাঃ নুরুল আমিন জানান, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তারা দুইজন জোটবদ্ধ হয়ে অনৈতিক সুবিধা বাস্তবায়ন করার জন্য ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভূয়াঁ রেজ্যুলেশন বানিয়ে যতসব অপকর্ম করে যাচ্ছে। তাদের অপকর্ম যদি তারা বন্ধ না করে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব। এবং উপরোক্ত বিষয়গুলো নিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি বিনীত আবেদন জানিয়েছেন কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্যরা।

[ পত্রিকার খবরটি আনকাট প্রকাশ করা হলো। ]