বিপুল মুসল্লির উপস্থিতে কুতুবজোমে নিহত মাদ্রাসা শিক্ষকের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন
মহেশখালী অফিস।। মহেশখালীর কুতুবজোমে মাদ্রাসা কক্ষ থেকে বের করে হত্যা করা শিক্ষক মাওলানা জিয়াউর রহমানের নামাজে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তবে এ ঘটনায় পরদিন গভীর রাত পর্যন্ত নিহতের পক্ষ থেকে কেউই থানায় মামলা করতে আসেনি। পুলিশ এ ঘটনায় মোট ৭ ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করেছে।
কক্সবাজার জেলা হাসপাতাল থেকে ময়না তদন্ত শেষে বিকেলে নিহতের মরদেহ বাড়িতে আনা হয়। পরে বিকেল ৫টায় মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম দাখিল মাদ্রাসার মাঠে জানাজা শেষে স্থানীয় ভাবে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
বিকেল ৫টায় নিহত শিক্ষক মাওলানা জিয়াউর রহমানের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে -এমন খবর পাওয়ার পর বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা ওই এলাকায় গিয়ে জমায়েত হন। জানাজা শুরু হওয়ার আগে মাদ্রাসার প্রাঙ্গনটি মুসল্লিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়৷ প্রিয় মানুষটিকে শেষবারের মতো দেখতে অনেকেই জানাজার মাঠে আসেন।
এ সময় অনেককে মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে শিক্ষক হত্যার ঘটনায় ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করতে দেখা যায়।
জানাজা শুরুর আগে মহেশখালী থানার ওসি প্রণব চৌধুরী, মহেশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান শরীফ বাদশা, মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আনোয়ার পাশা চৌধুরী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন, কুতুবজোমের ইউপি চেয়ারম্যান শেখ কামাল, সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন খোকন, জেলা বিএনপি নেতা আতাউল্লাহ বোখারী, মৌ. জাফর উল্লাহ নুরী এবং পিতা হত্যার বিচার দাবি করে ও পিতার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে বক্তব্য রাখেন নিহতের সন্তান মোহাম্মদ তৌহিদ।
ওসি তার বক্তব্যে দ্রুত সময়ে থানায় মামলা জমা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে খুনিদের গ্রেফতার করতে পুলিশ সব ধরণের উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানান।
এদিকে ঘটনা পর এ পর্যন্ত পুলিশ নারীসহ মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুতুবজোম ইউনিয়নের তাজিয়াকাটা বালিকা মাদ্রাসার মাঠে শিক্ষক মাওলানা জিয়াউর রহমানকে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার স্ত্রী রহিমা বেগমও গুরুতর আহত হয়। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মহেশখালী থানার ওসি প্রণব চৌধুরী জানান- ঘটনার পর দীর্ঘ সময় হয়ে গেলেও রাত ১টায় এ রিপোর্ট প্রস্তুত করা পর্যন্ত নিহতের পরিবারের কেউই থানায় মামলা নিয়ে আসেনি। ওসি জানান- তাদের মামলা নিয়ে আসার জন্য বার বার তাগিদ দেওয়ার পরও তারা বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না। এ অবস্থায় গ্রেফতার করা লোকজন এর বিষয়ে সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।
হত্যাকাণ্ডের এতো সময় পরেও কেউ মামলা নিয়ে না আসাটা রহস্যজনক বলে মনে করছেন অনেকেই।