স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহেশখালীর মাতারবাড়ি ইউনিয়নের শের উল্লাহ বহাদ্দারের মালিকানাধীন এফবি তহুরী জন্নাত নামের ৬৫ অশ্বশক্তির ট্রলারটি ২২জন মাঝি-মাল্লা নিয়ে গতকাল দুপুরে সমুদ্রে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। কিছুদূর যেতেই ট্রলারটি বৈরি আবহাওয়ার কবলে পড়ে। এ সময় ট্রলারটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে মাঝি। এক পর্যায়ে ট্রলারটি ডুবে যেতে থাকলে ট্রলারে থাকা মাঝি-মাল্লারা উপকূলের বিভিন্ন পয়েন্ট গিয়ে উঠার চেষ্টা করে। এ সময় সমুদ্রে থাকা অন্যান্য জেলেনৌকা তাদের অনেককে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। অনন্ততঃ ৪-৫টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যেতে থাকা ওই ট্রলারের কাছে গিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত মাঝিমাল্লা ও ওই ট্রলারের মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চালায়।
সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজারের ৬ নম্বর জেটি এলাকা থেকে ফিসারি ঘাট হয়ে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সাগরে যাত্রা করে ট্রলারটি। প্রায় ২০ দিনের খাবার অন্য সরঞ্জাম নিয়ে নাছির উদ্দীন মাঝির নেতৃত্বে ট্রলারটি সুদ্রের পথে ছেড়ে গিয়েছিলো। ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়ার কিছু সময়ের মধ্যে ট্রলারটি নাজিরার টেক উপকূলে গেলে গভীর স্রোতে ও ডুবোচরের কবলে পড়ে এবং ক্রমাগত বিশালাকৃতির ঢেউয়ের আঘাতে নিমজ্জিত হতে থাকে ট্রলারটি। এ সময় ট্রলারে থাকা অধিকাংশ জেলে সাঁতার কেটে উপকূলে ফেরার চেষ্টা করেন এবং মাঝিসহ অন্য জেলেরা ট্রলারটিকে স্বভাবিক রাখার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এক পর্যায়ে ঢেউ এর কবলে ট্রলারটি উল্টে যায়। পরে সমুদ্রে থাকা সহযোগী নৌকাগুলো তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। এ ট্রলারডুবির ঘটনায় প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ট্রলার মালিকের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। রাত ১১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ট্রলারটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি, গভীর রাতে জোয়ারের পানি বাড়লে ট্রলারটি টেনে উপকূলে নিয়ে আসা ও ট্রলারে থাকা জালগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হবে বলে জানা গেছে।