Advertisement


মহেশখালীতে বন্দুক ক্রেতা সেজে পুলিশের ফাঁদ, বন্দুক ব্যবসায়ি গ্রেফতার


বিশেষ সংবাদদাতা।। মহেশখালীতে রাতে অবৈধ বন্দুক বিক্রি করার সময় পুলিশের জালে আটকা পড়েছে এক যুবক। ওই যুবক ও তার এক সহযোগী সিএনজি চালিত টেক্সি চালানোর আড়ালে অবৈধ বন্দুকের ব্যবসা ও সাগরে দস্যুতা করতো বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ঘটনায় উদ্ধার করা হয়েছে স্থানীয় ভাবে প্রস্তুত দুইটি নতুন লাইটার গান (এলজি)। মূলতঃ বন্দুক ক্রেতা সেজে পুলিশের পাতানো ফাঁদে ওই যুবক আটকা পড়ে বলে জানা গেছে।

মহেশখালী থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) প্রণব চৌধুরী জানান- পুলিশের কাছে আগাম তথ্য ছিলো- জাহাঙ্গীর আলম নামের এক বন্দুক ব্যবসায়ি অপর এক ক্রেতাকে বন্দুক বিক্রি করতে উপজেলার কালারমার ছড়ার মিজ্জিরপাড়া বাজার এলাকায় আসবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ওসির নেতৃত্বে পুলিশের চার জন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলাদা টিম নিয়ে সাদা পোশাকে ৩১ আগস্ট (বুধবার) রাত ৮টা থেকে ওই বাজার এলাকায় অবস্থান নেন। পরে রাত ১১টার কিছু সময় আগে ওই ব্যক্তি একটি সাদা ব্যাগ হাতে নিয়ে বাজারের কাছাকাছি এলাকায় এসে অবস্থান করতে থাকে। এ সময় মোবাইল ফোনে ওই ব্যক্তি বন্দুক কিনতে আসবে বলা লোকের সাথে কথা চালাচ্ছিলো। এক পর্যায়ে পুলিশ রাত ১১টার দিকে মিজ্জিরপাড়া বাজারের দক্ষিণ অংশে জনৈক জালাল এর স-মিল এর সামনে ওই ব্যাগটিসহ তাকে গ্রেফতার করে। পরে ওই ব্যাগ থেকে দুইটি নতুন লাইটার গান (এলজি) উদ্ধার করে পুলিশ। বন্দুকগুলো স্থানীয় ভাবে প্রস্তুত করা। গ্রেফতার হওয়া যুবক জাহাঙ্গীর আলম (২৯) কালারমার ছড়া ইউনিয়নের মিজ্জিরপাড়া গ্রামের জনৈক মৃত কালা মিয়া ওরফে আবু তাহেরের পুত্র।

ওসি জানান- জাহাঙ্গীর আলম ও তার সহযোগী একই এলাকার মৃত গোলাল হোসেনের পুত্র সৈয়দুল আলম মিলে নানা অপরাধ করে আসছিলো। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাহাঙ্গীর আলম এই বন্দুকগুলো তার সহযোগী সৈয়দুল আলম থেকে নিয়ে বিক্রি করতে আসে বলে জানায়। গ্রেফতার হওয়া যুবক জাহাঙ্গীর আলম একজন সিএনজি চালিত টেক্সির ড্রাইভার। সে এ পেশার আড়ালে ওই সহযোগিকে সাথে নিয়ে অবৈধ বন্দুকের ব্যবসা ও সাগরে দস্যুতা করে আসছিলো। জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে  ৩টি ও সৈয়দুল আলমের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় একটি অস্ত্র মামলাসহ ২টি মামলা রয়েছে। বন্দুক উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে এই দুইজনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করবে।

এদিকে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে- মূলতঃ পুলিশের পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে গ্রেফতার হয়েছে যুবক জাহাঙ্গীর আলম। পুলিশের কাছে তথ্য ছিলো ওই ব্যক্তি তার সহযোগিদের নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বন্দুকের ব্যবসা করে আসছিলো। বিভিন্ন সময় পুলিশ তাদের ধরতে অভিযান চালিয়েও ব্যর্থ হয়। পরে পুলিশ নিজস্ব গোয়েন্দা সূত্র ব্যবহার করে বন্দুক কেনার ফাঁদ আটে। শেষ পর্যন্ত এ ফাঁদ ব্যবহার করেই এই বন্দুক ব্যবসায়িকে গ্রেফতার করে পুলিশ।