Advertisement


লবণ বিক্রিতে বাঁধা দেওয়ায় কুতুবজোমে যুবক খুন, গুরুতর আহত আরও ৩


রকিয়ত উল্লাহ।। মহেশখালীর কুতুবজোমে লবণ বিক্রিতে বাঁধা দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোঃ সোহেল(৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে এবং আরও ৩ জনকে কুপিয়ে  মারাত্মক ভাবে জখম করা হয়েছে।  


২০ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার কুতুবজোমের কালামিয়া বাজারের চৌরাস্তার মোড়ে এঘটনা ঘটে। নিহত মোঃ সোহেল স্থানীয় রাজা মিয়ার পূত্র। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহেশখালী থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী।

সূত্রে জানা যায় - কয়েকদিন ধরে লবণ বিক্রিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মকসুদ মিয়া গং ও একই এলাকার পিয়ারু গং এর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যেই হুমকি-ধমকি চলে আসছিল। এরই মধ্যে ২০ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টার দিকে পিয়ারু ও ছিদ্দিকের নেতৃত্ব লম্বা দা-কিরিচ নিয়ে কয়েকজন লোক এসে মকসুদ গং এর লোকজনের উপর হামলা চালিয়েছে। এতে রাজা মিয়ার পূত্র মোঃ সোহেল(৩০), মৃত ফোরকানের পূত্র মকসুদ মিয়া(৩৮), জালাল মিয়া(৩৫) ও ইমাম শরীফের পূত্র আলী মিয়া(৫০) মারাত্মক ভাবে আহত হয়।

স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে মহেশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে আহতদের অবস্থার অবনতি হলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। এখানে মোঃ সোহেল(৩০) মারা যায় এবং আশঙ্কা জনক অবস্থায় বাকীদের  চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে মহেশখালী থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী জানান- কুতুবজোমে একটি হামলার ঘটনায় এক জন মারা গেছে এবং আরও ৩ জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজারে প্রেরণ করা হয়েছে। আমরা ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

কুতুবজোমের ইউপি চেয়ারম্যান শেখ কামাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন- এ রিপোর্ট লেখার সময় তিনি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রয়েছেন, এখানে সোহেলের মৃত্যু হয়েছে ও বাকি ৩ জনের অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন বলে চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি নিশ্চিত করেছেন।

এ মুহূর্তে ওসির নেতৃত্বে পুলিশের ৩টি আলাদা ইউনিট কুতুবজোমে কাজ করছে।