কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানায় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আশেক উল্লাহ রফিক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এড. সিরাজুল মোস্তাফা, মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকসুদ মিয়াসহ ১৫৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় আরও ৫০ থেকে ৭০ জন অজ্ঞাত আসামী করা হয়। মামলাটি করেছেন উপজেলার কালামার ছড়া এলাকার শিক্ষার্থী ইয়াছিন আরাফাত।
মামলার এজাহারে বলা হয়- গত ১৬ জুলাই বাদি ইয়াছিন আরাফাতসহ হাজারো ছাত্রজনতা শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে মহেশখালী উপজেলা সদরের দীঘি পাড় এলাকায় জমায়েত হয়। এ সময় মামলায় উল্লেখিত আসামিসহ ৫০ থেকে ৭০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি ছাত্রজনতার উপর অর্তকিত হামলা চালায়, ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে ত্রাস ও আতংক সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় ছাত্ররা দিকবেদিক ছুটে গিয়ে পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করে। হামলাকারীরা মামলার বাদি ইয়াছিন আরাফাতসহ কয়েকজনের মোবাইল ও ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং অস্ত্র উঁচিয়ে হুমকী দেয় বলেও মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
কক্সবাজার-০২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আশেক উল্লাহ রফিক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এড. সিরাজুল মোস্তাফা, মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকসুদ মিয়া ছাড়াও মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছে মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সা. সম্পাদক তারেক বিন ওসমান শরীফ চেয়াম্যান, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক ফজলে আজিম মো. ছিবগাতুল্লাহ, সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল আলম, আব্দুল খালেক চেয়ারম্যান, রিয়ান সিকদার চেয়ারম্যান, উপজেলা ছাত্রলীগ আহ্বায়ক জসিম বিজয়, আহসান উল্লাহ বাচ্চু চেয়ারম্যান, সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন খোকন, মীর কাসেম চেয়ারম্যান।
মহেশখালী থানার ওসি কায়সার হামিদ থানায় মামলা রেকর্ড হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে উপ-পরিদর্শক এসআই সুমিত বড়ুয়া মামলাটি তদন্ত করছেন বলে জানান।