Advertisement


মাছ ধরার ২য় দিনে মহেশখালীতে ট্রলার ডুবি, ১৩ মাঝিমাল্লা কুলে ফিরেছে

বিশেষ সংবাদদাতা।।
মহেশখালী উপকূলের কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরে একটি মাছধরা ট্রলার ডুবে গেছে। তবে ট্রলারে থাকা ১৩ মাঝি-মাল্লার সকলেই অক্ষত অবস্থায় কূলে ফিরে এসেছে। আজ মাগরিবের পরে এ ট্রলারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ট্রলারের মালিক মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড(ঘটিভাঙ্গা) এর মেম্বার নুরুল আমিন খোকা।

ট্রলারমালিক নুরুল আমিন খোকা মহেশখালীর সব খবরকে জানান -তার মালিকানাধীন মাছ ধরার ট্রলার এফবি এম. হোছাইন গতকাল ১৩ মাঝি-মাল্লা নিয়ে মাছ ধরতে যায়। উপকূলের কাছাকাছি সমুদ্রে মাঝি-মাল্লারা জাল ফেলে এবং বিপুল পরিমাণ লইট্ট্যা মাছসহ অন্যান্য মাছ ধরতে সক্ষম হন জেলেরা। ৪৫ অশ্বশক্তির এ ট্রলারটিতে জেলেরা প্রায় ৩০ মন এর মাছ তুলেন জেলেরা। পরে আজ সন্ধ্যারদিকে মাছ নিয়ে জেলেরা উপকূলের দিকে ফিরে আসতে শুরু করে। ফেরার পথে এ জেলে নৌকাটি সোনাদিয়ার কাছাকাছি নতুন ধার এলাকায় পৌঁছুলে সাগরের উত্তালতার কবলে পড়ে। এ সময় ট্রলারটির মাঝি মুহিবুল্লাহ অনেক চেষ্টা চালিয়েও ট্রলারটির শেষরক্ষা করতে পারেননি। একপর্যায়ে সমুদ্রের প্রবল স্রোত ও ঢেউ এর কবলে পরে ট্রলারটি ওখানেই ডুবে যায়। ট্রলারমালিক জানান -ট্রলারটি চূড়ান্ত ভাবে ডুবেই যাচ্ছে -এটা নিশ্চিত হওয়ার পর ট্রলারে থাকা মাঝি-মাল্লারা ট্রলারে নিরাপত্তামূলক যা আছে -টায়ারটিউব, ছোট ট্যাংক ইত্যাদী নিয়ে সাতরিয়ে উপকূলে ফিরে আসার উদ্যোগ নেয়। এ সময় অন্যান্য মাছধরা ট্রলার দুর্ঘটনা কবলিত অনেক জেলেকে উদ্ধার করে। কেউ কেউ সাতরিয়েও উপকূলে চলে আসে। নুরুল আমিন জানান -সমুদ্রে মাছ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর শুক্রবার তার মালিকানাধীন ৩টি ট্রলার সগরে মাছ ধরতে যায়। তিনটি ট্রলারের মধ্যে এফবি এম. হোছাইন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

এদিকে স্থানীয় জেলেরা জানাচ্ছেন -ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত মাছ বোজাই ছিল ট্রলারটি। ফলে সমুদ্রের উত্তাল অবস্থায় পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।