Advertisement


বড় মহেশখালীতে প্রবাসীর পরিবারে হামলা, লুটপাটের অভিযোগ; ৪ নারী-শিশু আহত

বার্তা পরিবেশক।।
বড় মহেশখালীর ফকিরাঘোনা গ্রামে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে এক প্রবাসীর পরিবারের উপর ব্যাপক নির্যাতন, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে একাধিক ব্যক্তি। ঘটনার পরেও হামলাকারীরা ধারাবাহিক ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে ওই পরিবারটির উপর। এ নিয়ে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে বলে জানাগেছে।
 
ওই প্রবাসীর পরিবার সূত্র লিখিত অভিযোগে জানান -একই এলাকার ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান মিন্টু ও তার বাহিনী পরিকল্পিত ভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় তাদের হামলায় প্রবাসী মৌলভী আব্দুর রহিমের স্ত্রী জাইতুন নাহার (৪৫), তার মেয়ে বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের ছাত্রী সুমাইয়া আরেফীন (১৭), রাহ্মা আরেফীন (৮) এবং প্রবাসীর বোন মুন্নি (১২) আহত হয়। আহতরা মহেশখালী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে বলে জানা যায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা বাড়ির আসবাবপত্র ভাংচুর, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তছনছ ও ছিড়ে ফেলে এবং বাড়ির আলমিরা ভেঙ্গে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এতেও ক্ষান্ত না হয়ে জিল্লুর রহমান মিন্টু নিজে পুলিশ পুলিশকে ভুল বুঝিয়ে উক্ত পরিবারকে ইয়াবা মামলায় ফাঁসানোর অপচেষ্টা চালায়। এলাকাবাসীর প্রতিবাদের মুখে মিন্টুর সে চেষ্টা ব্যর্থ হয় বলে জানায় পরিবারটি। 

পরিবারের সদস্যরা জানান -বেশ কিছুদিন ধরে উক্ত প্রবাসীর পরিবারের সাথে পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজনের মধ্যে চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। স্থানীয় ইউপি সদস্য হিসেবে উক্ত বিরোধ মীমাংসার কথা বলে কৌশলে বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালায়। ২৯ জুলাই বেলা ২ টার দিকে প্রবাসীর বসত-ভিটায় এসে মীমাংসার কথা বলে দলবল নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় জিল্লুর রহমান মিন্টুর নেতৃত্বে তারই ছেলে আবু রাফা, মৃত মোহাম্মদ বকসুর ছেলে আবু তালেব মাঝি, আবু তালেব মাঝির ছেলে যথাক্রমে খাইরুল আমিন, শওকত উল্লাহ, শাকের উল্লাহ, পুত্রবধূ শাহেনা আখতার ও মতিয়া বেগম, মৌলভী আনছুর আলী পাড়া গ্রামের মৃত আবুল শামার পুত্র আব্দুল মালেক, মৃত খুলু মিয়ার পুত্র আবুল হোসেন, মৌ. আব্দু সামাদের পুত্র সা‘দ, মৃত মুহাম্মদ রশিদের ছেলে কাইছার হামিদসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন অস্ত্র-শস্ত্র, লাঠিসোটা, হাতুড়ি ইত্যাদি নিয়ে এ হামলায় অংশ নেয়। বিষয়টি নিয়ে থানায় মামলা না করার জন্য হামলাকারীরা বিভিন্নভাবে ভাবে হুমকি-ধমকিও দিয়ে যাচ্ছে বলে পরিবারটি জানায়। বর্তমানে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে বলে দাবি করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।