Advertisement


মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনীর যৌথ অনুশীলন



নিউজরুম এডিটর।।
সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সম্প্রতি যৌথ অনুশীলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুশীলনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বাংলাদেশ নৌ বাহিনী, বিমান বাহিনী, কোস্ট গার্ড, পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন। সেনাসদরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ১০ পদাতিক ডিভিশন এ অনুশীলনের আয়োজন করে। সশস্ত্র বাহিনী ও অসামরিক প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এই যৌথ অনুশীলন প্রত্যক্ষ করেন। -খবর আইএসপিআর এর। 

মাতারবাড়ি ১২০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিয়োজিত দেশী-বিদেশী ব্যক্তিবর্গের মাঝে বিদ্যমান নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর আস্থা তৈরি, নিজস্ব পূর্ব প্রস্তুতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে গত ১৩ ডিসেম্বর (রবিবার) সশস্ত্র বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের সদস্যগণ কর্তৃক একটি যৌথ অনুশীলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এবং এরিয়া কমান্ডার, কক্সবাজার এরিয়া মেজর জেনারেল আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী।

যে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি যেমন অগ্নি দুর্ঘটনা, শ্রমিক অসন্তোষ, সন্ত্রাসী কার্যক্রম ইত্যাদির ক্ষেত্রে সামগ্রিক নিরাপত্তার স্বার্থে প্রকল্পে নিয়োজিত দেশী-বিদেশী ব্যক্তিবর্গকে উদ্ধার,স্থানান্তর করা এবং জরুরী পরিস্থিতিতে প্রকল্প এলাকার নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রকল্পের সার্বিক নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনা করে সশস্ত্র বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের পূর্ব প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এই যৌথ অনুশীলনের আয়োজন করা হয়।


সরকারের এ মেগা প্রকল্প কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনায় প্রায় ১৬০০ একর জমির উপর নির্মিত হচ্ছে। এতে স্থানীয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ছাড়াও দেশী-বিদেশী নাগরিকগণ কর্মরত রয়েছেন। 


আইএসপিআর জানায় -বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তথা সশস্ত্র বাহিনী যে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে মাতারবাড়ি প্রকল্প এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল দেশী-বিদেশী ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তা প্রদানে সদা প্রস্তুত। এই অনুশীলনের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সশস্ত্র বাহিনী ও অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হলো যা ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।