রকিয়ত উল্লাহ।। ছোট মহেশখালীর দক্ষিণ নলবিলা গ্রামে ভিটাবাড়ির সীমানা বিরোধ এর জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রতিপক্ষের দায়ের কোপে নারীসহ ৩জন আহত হয়েছে।
আহতদের মধ্যে মোঃ বকসুর শাররিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেছে।
স্থানীয় গ্রামবাসীর দেওয়া তথ্য ও লিখিত এজাহার সুত্রে জানাযায়- নলবিলা গ্রামে মৃত আবুল হোসনের পুত্র মীর কাসেম এর সাথে মোঃ বকসুর পুত্র রহিম সিকদারের মধ্যে বাড়ি ভিটার জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল।
এঘাটনাকে কেন্দ্র করে ২৫ জানুয়ারি সোমবার সকাল অনুমান ৭টায় মীর কাসেম এর পুত্র এনাম বৃদ্ধ মোঃ বকসুকে গলায় ধরে ধাক্কা দেয়। এ বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে মীর কাশেম এর পুত্র এনামের নেতৃত্বে একরাম মেম্বারের বাড়ির সামনে পৌছার সাথে সাথে হামলা চালিয়ে মুহাম্মদ বকসুকে দা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে। মোঃ বকসুর সন্তানরা বাবাকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসলে মীর কাসেম এর লোকজন দা, কিরিচ, লোহার রড, হাতুড়ি ও লাঠিসোটা নিয়ে এলোপাতাড়ী মারপিটে কারো মাথা, কারো পায়ে ও কপালে গুরুতর আহত হয়।
অপর আহতজনরা হলেন মোঃ বকসুর মেয়ে ছেনোয়ারা বেগম, ও মোহাম্মদ বকসুর পপুত্র রহিম সিকদার।
আহতরা গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম প্রাপ্ত হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে দ্রুত মহেশখালী হাসপাতালে নিয়ে আসে। এনামের নেতৃত্বে জখমিদের বাড়িঘর লুটপাট করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় বলে এজাহারে দাবি করেন।
এঘটনায় মোঃ বকসুর পুত্র রহিম সিকদার বাদী হয়ে মীর কাশেম এর পুত্র এনাম, আজিজুল হক মুহাম্মদ শফি, মাহাবুব আলম, মীর কাশেম ও আমেনা বেগম কে আসামী করে মহেশখালী থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করে।
এ ঘটনার বিষয়ে মহেশখালী থানার ওসি মোঃ আব্দুল হাই জানান, ছোট মহেশখালীতে বাড়ী ভিটার জমি সংক্রান্ত একটি এজাহার পেয়েছি। অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।