সূত্র জানায় -মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মাঝে রয়েছে ব্যাপক অন্তঃকোন্দল। আশেক উল্লাহ রফিক এমপি ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করলেও দলের স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের কোন্দলে তার সাফল্য অনেকটা ম্লান হয়ে গেছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ কোন্দল, যা দিন দিন আরও তীব্র হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমান চেয়ারম্যান কামরুল হাসান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছৈয়দ আলমের মধ্যে বিরোধ প্রকট রূপ নেয়। যা দিন দিন আরও তীব্র হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানিয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের একটি অংশ। তাদের দাবি -এ অবস্থা চলতে থাকলে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ফল পাওয়া আওয়ামী লীগের জন্য কষ্টসাধ্য হবে।
জানাগেছে, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। জনগণের মন জয়ে তারা ব্যস্ত সময় পার করছেন। পিছিয়ে নেই দলীয় টিকেটের লবিংয়েও। তবে মাঠে ময়দানে তেমন দেখা না মিললে নীরবে ভোট প্রার্থনা করে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় টিকেট কে পাচ্ছেন তা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চলছে নানা বিশ্লেষণ।
ধলঘাটার ভোটার ইসমত উল্লাহ জানান, মহেশখালীর ধলঘাটা এখন আগের মত নেই। দেশের সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে এখানে। এ কারণে অন্যান্য এলাকার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই সবদিক বিবেচনা করেই জনগণ এবার ভোট দেবে।
ধলঘাটা এলাকার মোহাম্মদ ইউনুছ জানান, প্রতিটি রাজনৈতিক দল বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির উচিত মাঠ পর্যায়ে জনপ্রিয়তা যাচাই করে দলের টিকেট দেয়া। কারণ অযাচিত ও অযোগ্য ব্যক্তিদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে। এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দল।
আর তাই যেন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ভোটের মাঠে প্রকাশ্য ও গোপনে নানাভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হবে এই নির্বাচন। চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীক নৌকার মাঝি হতে নবীন-প্রবীণ মিলিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা নানাভাবে জেলা পর্যায় থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের কাছে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন।
আওয়ামীলীগ থেকে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে যাদের নাম শুনা যাচ্ছে তারা হলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হাসান, সাবেক (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (সাবেক চেয়ারম্যান) আহছান উল্লাহ বাচ্চু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য বখতিয়ার আলম, সাবেক ছাত্রনেতা কামাল উদ্দিন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছৈয়দ আলম। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী বিশিষ্ট ঠিকাদার ও সমাজ সেবক সরওয়ার আলম। তার পরেও দেখা যাক কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি ও বিএনপির একক প্রার্থী।
প্রসঙ্গতঃ ধলঘাটা ইউনিয়নে নারী-পুরুষ মিলে মোট ভোটার সংখ্যা ৯ হাজারের বেশি। এবার এ ইউনিয়নের জনগণ চেয়ারম্যান প্রার্থী নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে ছুলছেরা বিশ্লেষণ। যার কারণে এবার চেয়ারম্যান যেই হোক না কেন কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে এ ইউনিয়নে। কারণ এ ইউনিয়নে সরকারের বড় বড় মেগা প্রকল্প হতে যাওয়ায় এটি বর্তমান সরকারের ইমেজ ইস্যুর আসন হয়ে দাঁড়িয়েছে।