ব্যাবহার করা হয়েছে স্থানীয় জনৈক আওয়ামী লীগ নেতার নাম
ছবিঃ প্রতিকী |
জানাগেছে, মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নের রাজুয়ার ঘোনা এলাকায় অসহায়দেরকে বিনামূল্য ঘর দেওয়া হবে বলে লোভ দেখিয়ে প্রায় ৭-৮মাস আগে মোহরা কাটা এলাকার মোহাম্মদ শরীফের পুত্র শওকত(৩০) সিন্ডিকেট করে বিভিন্নজনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়।
অভিযোগে প্রকাশ -রাজুয়ার ঘোনা এলাকার অবসরপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্য মোহাম্মদ সৈয়দ এর স্ত্রী মুনকো(ডাকনাম) (৩৮) এর মাধ্যমে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতাকে ব্যবহার করে সরকারি ঘর এসেছে বলে প্রায় ৪৯ জন থেকে ১০ থেকে ২০ হাজার করে প্রায় ৪ লাখ ৬৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় বলে জানান এক ভুক্তভোগী।
তিনি আরও জানান -দীর্ঘ দিন ঘর না পেয়ে প্রতারক চক্রের কাছে বার বার যাওয়ার পর তারা আত্মগোপনে চলে যায়। পরে কয়েকদিন আগে তাদেরকে ভুক্তভোগীরা আটক করে। পরে এ নিয়ে স্থানীয় একটি বাড়িতে সালিশি দরবার হয়। ওই সালিশে প্রতারকরা সকলের টাকা ফেরত দিবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করে ফের আত্মগোপনে চলে যায়। এর পেছনে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালী যুক্ত রয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন।
বাড়িকাণ্ডঃ মূলহোতাকে আটক করে পুলিশে দিলেন চেয়ারম্যান তারেক, টাকা উদ্ধার
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হোয়ানক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর কাসেম চৌধুরী বলেন -তিনি বিষয়টি শুনেছেন, যে দিন সালিশ বসে -সে দিন প্রতারকের জনৈক আত্মীয়ের মাধ্যমে তিনি বিষয়টির খবর পান বলে জানান।
ভুক্তভোগীদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন -হোয়ানকের রাজুয়ার ঘোনা এলাকা থেকে সরকারি ঘর দেওয়ার নামে অসহায় লোকজনের কাছ থেকে বিপুল টাকা হাতিয়ে নেয় এ চক্রটি।
জানা যায়, শওকত নামে একজন প্রতারক তাদের চক্রের নারী সদস্যেদের ব্যবহার করে দরিদ্র লোকজনকে টার্গেট করে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পাকা বাড়ি দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।
এ বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহাফুজুর রহমান জানান, মহেশখালীর সরকারি ঘর দেওয়ায় নাম করে কেউ অসহায়দের থেকে টাকা হাতিয়ে নিলে তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন।> ঘর দেওয়ার নামে প্রতারণা, যুবক আটক
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এখনও কেউই টাকা ফেরত পাইনি, এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। দ্রুত প্রতারক চক্রের সদস্যদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে টাকা উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান তারা।
প্রসঙ্গতঃ এর আগে কালারমার ছড়ায় এ রকম একটি প্রতারক চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। পরে খবর পেয়ে গত ৫ মার্চ চক্রের প্রধান হোতাকে আটক করে পুলিশে দেন স্থানীয় চেয়ারম্যান। উদ্ধার করা হয় প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া বিপুল টাকা। বর্তমানে একই ভাবে মাতারবাড়ি ও শাপলাপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় এ রকম প্রতারক চক্র সক্রিয় রয়েছে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
প্রতিবেদনঃ নিউজরুম। তথ্যঃ রকিয়ত উল্লাহ ।