Advertisement


শুরু হয়েছে মহেশখালীর আদিনাথ মেলা


কাব্য সৌরভ।।
মহেশখালীর ঐতিহ্যবাহী আদিনাথ মেলা ও শিবচতুর্দশী পুজা শুরু হয়েছে। ৩ দিন পুজা চললেও মেলা চলবে আগামী দশদিন ব্যাপী৷

তথ্যমতে এ মেলা আনুমানিক দু’শ বছরেরও বেশী সময় ধরে আদিনাথ মেলা নামে পরিচিতি লাভ করে এবং একই নামে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বলে জানা যায়। প্রতি বছর শিব চতুর্দর্শী পূজা ও মেলা উপলক্ষ্যে ভারত, নেপাল, শ্রীলংকাসহ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে হাজারও পূর্ণ্যার্থীরা আসেন।পাশাপাশি মেলা উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন ধর্মালম্বীদেরও সমাগম ঘটে।

প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের শুরুতে কৃষ্ণ পক্ষের চতুর্দশীতে দেবাদি দেব শিবের আর্শীবাদ লাভের আশায় হিন্দু বৌদ্ধ তথা সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শিব দর্শনে পূজা করে থাকে। এ বছর শিব চতুর্দশী পূজার মূল দর্শনের লগ্ন সোমবার রাত ২ টা থেকে লগ্ন শুরু হবে বলে জানা যায়।

গেলো ২১ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) আদিনাথ মন্দির পরিচালনা কমিটি ও উপজেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ (২৮ ফেব্রুয়ারি, সোমবার) থেকে আগামী ১০ দিনব‍্যাপী পূজার আয়োজনও মেলা চলবে বলে জানা যায়।

আজ সকাল থেকে আদিনাথ জেটি, মহেশখালী জেটিসহ সড়কপথে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পূর্ণ্যার্থীরা আসতে শুরু করেছে, এবং অনেক তীর্থযাত্রী মন্দিরে অবস্থান করছেন। মন্দিরে আসা তীর্থযাত্রী, পূজারী, ভক্তবৃন্দ ও পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য সজাগ অবস্থান রয়েছে মহেশখালী থানা পুলিশ, এমনটা জানানো হয়েছে মহেশখালী থানার পক্ষ থেকে। এছাড়া নিরাপত্তা জোরদার করতে পুলিশের পাশাপাশি আনসারও মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা যায়।

এবিষয়ে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবদুল হাই পিপিএম বলেন, “আদিনাথ মন্দিরের পূজা ও মেলা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে অতিরিক্ত পুলিশ ও মহেশখালী থানা পুলিশের বিশেষ একটি টিম সর্বাক্ষণিক টহলে থাকবে ৷ মেলায় আগত পূর্ণ্যার্থী, ভক্ত অনুরাগীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনের পক্ষ হতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি”।

তীর্থ যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে নৌ-যান ও সড়ক পথে যানবাহন ভাড়া নির্ধারণ সহ তীর্থ যাত্রীদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানায় মহেশখালী উপজেলা প্রশাসন।

শিবচতুর্দশী পুজা ও মেলা উৎযাপন কমিটির সহ-সভাপতি শান্তি লাল নন্দি বলেন, প্রতি বছরের ন‍্যায় এ বছরও সুশৃঙ্খলভাবে পূজা ও মেলা অনুষ্ঠিত হবে। পূজারী ও ভক্তবৃন্দদের জন্য থাকার সু-ব‍্যবস্থা করা পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ড, যাত্রা, সার্কাস, হাউজী, যে কোন ধরনের জুয়া ও বিনোদন মূলক ব্যবস্থার বিষয়ে কঠোরতা অবলম্বন করা হবে। সে সাথে গ‍্যাস বেলুন বিকিকিনি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।