Advertisement


প্রেমের টানে থাইল্যান্ডের মেয়ে মহেশখালীর মাতারবাড়িতে, অতঃপর বিয়ে


রকিয়ত উল্লাহ।। এবার প্রেমের সুদূর থাইল্যান্ড থেকে কক্সবাজারের মহেশখালীতে চলে আসলেন এক নারী। এখানে এসে এক তরুণের সাথে বিয়ের পিড়িতে বসে রীতিমতো সংসার শুরু করেছে। বর্তমানে বেশ আনন্দ ও সুখ-শান্তিতে চলছে তাঁদের সংসার জীবন। মহেশখালীর মাতারবাড়িতে এক তরুণের সাথে ওই নারীর বিয়ে হয়। প্রেমের টানে এলাকার ছেলের কাছে বিদেশিনির চলে আসার খবরটি জানাজানি হলে ওই নারীকে দেখতে উৎসাহী মানুষের ভিড় জমেছে বরের পরিবারে।

#
প্রেমের টানে বাংলাদেশে ছুটে আসা বিদেশিনীদের তালিকা ক্রমশ লম্বা হচ্ছে। ভাষা-সংস্কৃতি, ধর্ম-বর্ণসহ নানা সংস্কার ও ভেদাভেদ ভুলে শুধু প্রেমের টানে বাংলাদেশে ছুটে আসছেন অনেক বিদেশি তরুণী। ঘর ছেড়েছেন ভালোবাসার টানে। এসেছেন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, আয়ারল্যান্ড, পোল্যান্ড, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, নাইজেরিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে।
#
এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন থাইল্যান্ডের মেয়ে তানিদা। প্রেমের টানে সুদূর থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়িতে এসেছেন তিনি। মনের মানুষকে পেতে গত ১২ ডিসেম্বর সকল আইনী প্রক্রিয়া শেষ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন ওই নারী। থাই নারী তানিদা’র বর্তমান নাম খতিজাতুল কোবরা। তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন মাতারবাড়ি ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা জাবের আহমদ সওদাগরের পুত্র রাজ ওসমান খানের সঙ্গে। বর্তমানে মাতারবাড়ি প্রেমিক রাজ ওসমান খানের বাড়িতেই অবস্থান করছেন তিনি।

মাতারবাড়ির স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- মাতারবাড়ির তরুণ রাজ ওসমান খানের সঙ্গে তানিদার পরিচয় হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে। সেই পরিচয় থেকেই ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে এই প্রেম বিয়ের সিদ্ধান্তে গড়ায়। অবশেষে সেই প্রেমের টানে সুদূর থাইল্যান্ড থেকে চলে আসেন মহেশখালীর মাতারবাড়িতে।

ওসমানের পরিবার প্রথম দিকে বিষয়টি নিয়ে বিব্রত হলেও শেষ এই প্রেমের বিষয়টি মেনে নেন। শেষ পর্যন্ত তা বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। ওসমানের পরিবারের লোকজন সার্বিক বিষয়টি শুনে তাদের সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেওয়ার পর থাইল্যান্ডের নারী তানিদা ধর্মীয় বিধান মতো ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে প্রেমিক রাজ ওসমান খানকে বিয়ে করেন।

বর্তমানে তারা তারা মাতারবাড়ির বাড়িতে অবস্থান করছেন। স্থানীয় সূত্রগুলো জানাচ্ছে- তুলনামূলক বরের চেয়ে বিদেশিনি বধূর বয়স বেশী, তারপরও চিরন্তন প্রেমের বাঁধন সব বাঁধাকে ছিন্ন করে তাদেরকে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ করেন।