বুধবার দুপুরে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতদের মরদেহ আলবাহা ডিস্ট্রিকের এক হাসপাতালের হিমঘরে রয়েছে বলে পরিবারে পক্ষ থেকে একটি সুত্র নিশ্চিত করে।
নিহতদের নিকটাত্নীয় এডভোকেট নয়ন জানান, সৌদি আরবে নিহতদের মরদেহ দেশে নিয়ে আসার বিষয়ে সে দেশে অবস্থানরত দূতাবাসের সাথে পরিবারের যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। দূতাবাসের সহায়তা ও পরামর্শ ক্রমে লাশ দেশে আসলে বা সেখানেই দাফনের বিষয়টি পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সৌদি আরবে নিহতদের অকাল মৃত্যুতে মহেশখালীর বড়মহেশখালী ইউনিয়নে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
গত ২৭ মার্চ সোমবার সন্ধ্যায় সৌদি আরবের আসির প্রদেশের আবহা এলাকায় মাহায়েল রোড়ের একটি ব্রীজের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
এতে নিহত বাসের ২০ জন যাত্রীর মধ্যে মহেশখালীর তিনজন রয়েছে। এদের মধ্যে দুই জনের বিস্তারিত বিবরণ জানা গেলেও মোহাম্মদ হোসেনের বিস্তারিত বিবরণ তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি।
এঘটনায় আরও ২৯ জন আহত হয়েছেন বলে সৌদি সরকার সে দেশের গণমাধ্যমেকে জানিয়েছেন।
সৌদি আরবে নিহতদের পারিবারিক সুত্র জানায়, নিহত মোহাম্মদ শেফায়েত ও মোহাম্মদ আসিফ পরস্পর আপন খালাত ভাই। মোহাম্মদ আসিফ বড় মহেশখালীর পূর্ব ফকিরাঘোনা গ্রামের আহমদ উল্লাহর পুত্র এবং মোহাম্মদ শাফায়েত বড় ডেইল এলাকার নুরুল ইসলামের পুত্র। তারা সোদি আরবের আল বাহা ডিস্ট্রিকে মেইনটেন্সের কাজ করার সুবাদে কাছাকাছি থাকতেন।
পবিত্র রমজানের সময় আল্লাহর ঘর বায়তুল্লাহ দেখতে এবং পবিত্র ওমরা হজ্জ করার জন্য দুইজনেই নিয়ত করেছিলেন। এ কারণে তারা ওমরা হজ্জ করতে পবিত্র মক্কা শরিফের উদ্দেশ্য বড় আকারের বাসটিতে উঠেছিলেন। পরে ওই দুর্ঘটনার খবর মহেশখালীর নিহতের বাড়িতে এসে পৌছলে স্বজনের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠে।