Advertisement


মাতারবাড়ীতে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ কর্তৃক জনৈক আয়কর আইনজীবীর সম্পত্তি কুক্ষিগত করার পাঁয়তারা।

বাদী গং এর বিভিন্ন আদালতে দায়ের করা মামলার  রায় ডিক্রী আইনজীবীর পক্ষে


বার্তা পরিবেশক।।
মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের রাজঘাট ওয়াপদা পাড়া এলাকার বাসিন্দা বর্তমানে ৭ বি ইটারনাল ফেবিউলা, পূর্ব নাসিরাবাদ, চট্টগ্রামে অবস্থানরত আয়কর আইনজীবী রশিদ চৌধুরীর ক্রয়কৃত ও ওয়ারিশ সুত্রে মালিকানাধীন মাতারবাড়ী মৌজার বি.এস. খতিয়ান ১৭১২, ১৩৫৭,  ৯১৫, ১০০৪, ২৬৩, ১৩১২, এবং বিএস. দাগ ১৫১৫৮, ১৫১৫৯, ১৫১৬০ এর আন্দরে ৪ একর ২০শতক জমি বিগত  ২৫ বছর ধরে ভোগ দখলে স্থিত আছে। যা ২০০০ সালে সর্বশেষ ডিয়ারা মাঠ পর্যায়ের জরিপে মালিকানা দলিলের ভিত্তিতে  সৃজিত ডিয়ারা খতিয়ান নং ৪৩৮৫, ২১১১, ১৯৯১ ও ৮৫৭ এর অন্দরে ডিয়ারা দাগ নং যথাক্রমে ১৪৪৪৬, ১৪৪৪৭, ১৪৫৩৬ ও ১৪৪৭৪ তে ভোগদখলে স্থিত আছে।

রশিদ চৌধুরী আইন  পেশাগত কারনে স্ব-পরিবারে চট্টগ্রামে বসবাস করার সুযোগে ভুমিদস্যু বদিউল আলম  পিতা - মৃত আজম উল্লাহ, গ্রাম - ওয়াপদাপাড়া, মাতারবাড়ী, মহেশখালী ও অন্যান্য সন্ত্রাসীরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে রশিদ চৌধুরীকে তাঁর বৈধ মালিকানাধীন জমিজমা থেকে ভূমিদস্যুতার মাধ্যমে দখলচ্যুত করতে চায়। তারই ধারাবাহিকতায় মামলার বাদী বদিউল আলম গংরা বিগত ১২ বছর যাবৎ মামলার বিবাদী রশিদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন আদালতে ফৌজদারি ও সিভিল মামলা দায়ের করে আসছে।  বাদী পক্ষের দায়ের করা ওই সব মামলায় বিজ্ঞ আদালত রায় ডিক্রী দেয় যা  রশিদ চৌধুরীর পক্ষে। সরকার কর্তৃক প্রণীত ভুমি আইন -২০২৩ইং অনুযায়ী  মালিকানার ভিত্তি  হচ্ছে  দলিল যার জমি তার। মালিকানার ভিত্তি হিসাবে  ওই সব ডকুমেন্ট রয়েছে রশিদ চৌধুরীর।

সর্বশেষ মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে বদিউল আলম গং বাদী হয়ে রশিদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে একখানা মামলা করলে, মাতারবাড়ী ইউপির চেয়ারম্যান এসএম আবু হায়দার  ও মেম্বার আলা উদ্দিন সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক একখানা রায় আদেশ দেয়। যা রশীদ চৌধুরীর  পক্ষে ।  ওই আদেশে স্পষ্ট প্রতিমান হয় যে, বাদী বদিউল আলম গং রা  প্রত্যকটি মামলার রায় ডিগ্রিতে হেরে যায় এবং রশিদ চৌধুরীর পক্ষে রায় ডিগ্রি হয়।
বিভিন্ন সময়ে বাদী বদিউল আলম গং রা যে সকল মামলা দায়ের করে ও হেরে যায় সে  গুলির বিবরণ নিম্নে উপস্থাপন করা হলোঃ
১) মাতারবাড়ী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এম নুরুল ইসলাম এম.কম এর কাছে বাদী বদিউল আলম মামলা করলে উক্ত মামলার রায় ডিগ্রি পায় বিবাদী রশিদ চৌধুরী। তারিখ ০২/০৭/২০১১খ্রিঃ।
২) মহেশখালী থানায়  বাদি বদিউলের পক্ষে  মরহুম মাষ্টার আমান উল্লাহ নালিশী জমি সংক্রান্ত সাধারণ ডায়রী করলে, উক্ত মামলার রায় রশিদ চৌধুরীর পক্ষে ডিগ্রি হয়  ১৮/১২/১৪খ্রিঃ।  মামলা নং-৯৯৫।
৩)মহেশখালী থানার নন এফ আই আর মামলার নং ৯২/২০১৫ই্য তারিখ-১৮/১১/২০১৫খ্রি: মামলার রায় ডিগ্রি রশিদ চৌধুরীর পক্ষে।
৪) মহেশখালী উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত নন জি আর মামলা নং-২০/২০১৫খ্রি: তারিখ-২৩/১১/২০১৫খ্রিঃ
মামলার রায় ডিগ্রি বিবাদী রশিদ চৌধুরীর পক্ষে।
৫) মহেশখালী উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেট এর আদালতে মামলা নং- ৩৬৮। ২০/১১/২০১৪খি: মাতারবাড়ী তহশীলদার অফিস থেকে উক্ত মামলার তদন্ত  প্রতিবেদন আসে বিবাদী রশিদ চৌধুরীর পক্ষে।
৬) কক্সবাজার জেলার এডিএম কোর্টে দায়ের করা মামলার নং-১০৩১/২০১৬ ইং। ১৮/১০/২০১৬ ইং তারিখে উক্ত ১৪৪ ধারা মামলাটির রায় রশিদ চৌধুরীর পক্ষে ডিক্রী  হয়।
৭) মহেশখালী থানায় বাদী  বদিউল আলম গং  একখানা অভিযোগ দায়ের করলে বাদী  বিবাদী উভয়ের সম্মতিতে  মহেশখালীর গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের সমন্বয়ে  একটি শালিশী ব্যবস্থার আয়োজন  করে। দীর্ঘ  ৬ মাস সরেজমিন তদন্ত করে উক্ত  শালিশী বোর্ড রশীদ   চৌধুরীর  পক্ষে  রায় দেয়।
৮) বাদী গং বদিউল আলম বর্তমানে মাতারবাড়ি  ইউনিয়ন পরিষদের বিচার শালিশের রায় অমান্য করে মহেশখালী থানায় পুনরায় গত  ২৫-০৯-২০২৩ইং তারিখে ফৌজদারি  মামলা দায়ের করেছে। এবং বর্তমানে রশিদ চৌধুরী ও তাঁর পরিবারের লোকজন কে হত্যা এবং  বাড়ীঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়ে ক্ষতিসাধন করার হুমকি  ধমকি দিচ্ছে। এছাড়াও রশিদ চৌধুরীর চাষা ইসলাম কে জমি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য  হুমকি ধমকি  দিচ্ছে বাদী পক্ষের লোকজন।

এমতাবস্থায় রশিদ চৌধুরী ও তাঁর পরিবারের লোকজন দেশের  প্রশাসন  ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনের কাছে তার পরিবারের নিরাপত্তা,  জমি ও বসত বাড়ীর  নিরাপত্তার  জন্য ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেছেন।