Advertisement


খুরুস্কুলে জমি কিনে চাঁদাবাজদের খপ্পরে পড়েছেন মহেশখালীর ৩ জমি মালিক


নিজস্ব প্রতিবেদক।। কক্সবাজারের খুরুস্কুল ইউনিয়নে বাড়ি করতে গিয়ে সঙ্ঘবদ্ধ চক্র কর্তৃক দাবি করা চাঁদার টাকা না পেয়ে মহেশখালীর ৩ ব্যক্তির জমির উপর দেয়া সীমানা প্রাচীরের দেয়াল ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে ওই চক্রের সদস্যরা। পর পর দুই দফায় এভাবে সীমানা প্রাচীর ভেঙে দেয়া হয়। এ সময় বিভিন্ন মালামালও লুট করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে- ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় খুরুস্কুল কাওয়ার পাড়ার জনৈক এনামের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী প্রাচীরের পাকা দেয়াল ভেঙে দিয়ে ওখানে থাকা বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে- মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের মুহাম্মদ ইউনুস, সালামত উল্লাহ ও আফ্রিকা প্রবাসী শাহেদসহ ৩ জনে মিলে খুরুস্কুলের জনৈক বেদার নামক এক ব্যক্তি কাছ থেকে বাড়ি করার উপযুক্ত ৮ শতক জমি কিনে তাতে সীমানা প্রাচীন দেন।

এ জমির ক্রেতাদের কেউই ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা নয়, তারা ভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা ও প্রবাসী হওয়ায় স্থানীয় একটি চক্র প্রভাব বিস্তার করে জমির ক্রেতাদের নানা ভাবে হয়রানি করতে থাকে। এ অবস্থায় স্থানীয় জনৈক মমতাজুল হকের ছেলে এনাম, মৃত আবু সৈয়দের ছেলে বাবুল ও আজিম এখানে অন্য এলাকা থেকে এসে বাড়ি করতে হলে তাঁদের সাথে আপস করতে হবে বলে প্রস্তাব দেয়। এক পর্যায়ে তারা জমি ক্রেতাদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে, এ অবস্থায় জমি ক্রেতারা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ওই চক্রটি গত কয়েকদিন আগে রাতের আঁধারে সীমানা প্রচীর গুড়িয়ে দেয় ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

প্রথম দফার ঘটনার পর জমির ক্রেতারা এ নিয়ে মামলা করতে চাইলে ওই চক্রটি স্থানীয় ইউপি মেম্বারের সন্তান শোহেলাজের মাধ্যমে সমঝোতার প্রস্তাব দেয়, ক্রেতারা বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা লোক হওয়ায় সমঝোতা করতে রাজি হন। পরে মেম্বারের ছেলে নিজের টাকা দিয়ে ভেঙে ফেলা সীমানা প্রচীরটি পুনরায় নির্মাণ করে দেন।

এর কিছু দিন না যেতেই তারা আবারও সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে রাতের আধারে সীমানা প্রচীর ভেঙে দেয় এবং রট সিমেন্টসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। এ অবস্থায় ভুক্তভোগী জমি মালিকরা ৩ জনের নাম উল্লেখ করে ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে কক্সবাজার সদর থানার মামলার এজাহার দায়ের করেছেন।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি রাকিবুজ্জমান ভুক্তভোগীদের পক্ষে মো. ইউনুস নামের এক ব্যক্তির এজাহার পেয়েছেন এবং বিষয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।