জানা যায়- সম্প্রতি মহেশখালীর মাতারবাড়ি থেকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় গিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার পাশে ভাড়া করা বাসায় ওঠেন তারা, এখানে এসি বিস্ফোরণে একই পরিবারের শিশুসহ চারজন দগ্ধ হয়েছেন।
তাদেরকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন আহামেদ মোস্তফা। তিনি বলেছেন- আব্দুল মান্নানের বাড়ি কক্সবাজারের মহেশখালী। তার বড় মেয়ে রক্সি আক্তার ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত। বসুন্ধরা এভার কেয়ার হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। গত ৬ জুন সেখানে তার অপারেশন হয়। হাসপাতালের পাশে বসুন্ধরার এ-ব্লকে পরিবারটি একটা বাসায় সাবলেট ভাড়া নেয়। সেখানে থাকতেন তারা। গত সোমবার সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ চলে যায়। রুমে এসি চালানো ছিল। পরে আবার বিদ্যুৎ চলে আসলে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। পরে আশপাশের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে এভার কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ভর্তি করা হয়।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, তাদের চিকিৎসা চলছে।
দগ্ধদের মধ্যে রক্সির শরীরের ৫৫ শতাংশ, আয়ান ৭০ শতাংশ, ফুতুর ৫৫ শতাংশ, ও আব্দুল মান্নান এর ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের সকলের অবস্থা আশংকাজনক।