Advertisement


অতিজোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে মহেশখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত


আমিনুল হক।।
জোয়ারের পানি এবং বৃষ্টির পানি একাকার হয়ে মহেশখালীর নিম্নাঞ্চল গুলো প্লাবিত হয়েছে।  আজ ২৯ মে সকাল থেকে শুরু হওয়া গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি দুপুর নাগাদ বাড়তে থাকে। পরে জোয়ারের পানি এবং বৃষ্টির পানি একাকার হয়ে প্লাবিত হয়েছে  কুতুবজোমের ঘটিভাঙ্গা, ডেম্বুনি পাড়া, চরপাড়া, তাজিয়াকাটা।  মাতারবাড়ির সাইরার ডেইল, রাজঘাট, মগডেইল তিতামাঝির পাড়া। ধলঘাটার সরইতলা, মুহুরীঘোনা, সুতুরিয়া, সাপমারার ডেইল, পন্ডিতের ডেইল।  ছোটমহেশখালীর মুদিরছড়া, আহমদিয়া কাটা, ঠাকুরতলা, তেলিপাড়া, উম্বুনিয়া পাড়া। শাপলাপুরের দিনেশপুর, বারিয়া পাড়া, জেমঘাট ষাইটমারা।  হোয়ানকের বড়ছড়া, হরিয়ারছড়া, পানিরছড়া।  বড়মহেশখালীর মগরিয়াকাটা, পাহাড়তলী।  কালারমারছড়ার মোহাম্মদশাহ ঘোনা, ইউনুছখালী, ঝাপুয়া ও পৌরসভার চরপাড়া, ঘোনাপাড়া সহ প্রায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে বলে খবর পাওয়া  গেছে। 

ঘূর্ণিঝড়ের আশংকা এবং প্রস্তুতি বিষয়ে আজ  বিকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ হেদায়েত উল্ল্যাহ'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন, উপজেলা প্রকৌশলী বনি আমিন জনি, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, থানার এসআই সুমিত বড়ুয়া, মহেশখালী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ শাহেদ মন্নান, শিক্ষক সাংবাদিক ও সিপিপি প্রতিনিধি আমিনুল হক, কুতুবজোমের প্যানেল চেয়ারম্যান সেকাপ উদ্দিন মাসুম, ছোটমহেশখালীর প্যানেল চেয়ারম্যান ছৈয়দুল করিম, হোয়ানকের প্যানেল চেয়ারম্যান মোহামদ সেলিম সিকদার, বড়মহেশখালীর প্যানেল চেয়ারম্যান শফিউল আলম, সাবেক কাউন্সিলর মঞ্জুর আহমদ ও প্রীতিকনা শর্মা, ইউনিয়ন পরিষদ সচিব হ্লা মং। এসময় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিস প্রতিনিধি ও এনজিও প্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায়  জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে  পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে। এছাড়াও মাতারবাড়ীতে অরক্ষিত বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। 

এদিকে কুতুবজোমের ঘটিভাঙ্গা  এলাকায় জোয়ারের পানিতে ডুবে  দানু মিয়া  নামের এক মৃগী রোগীর মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় লোকজন জানান, দানু মিয়া এসময়  দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে ভারসাম্য হারিয়ে জোয়ারের পানিতে পড়ে অজ্ঞান হয়ে গেলে লোকজন তাকে দ্রুত  হাসপাতালে নিয়ে গেলে  কর্তব্যরত চিকিৎসক দানু মিয়াকে  মৃত ঘোষণা করেন। 

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  মোঃ  হেদায়েত উল্যাহ জানান, ঘূর্ণিঝড়টি লঘুচাপ থেকে নিম্নচাপে পরিনত হয়ে জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়ে মহেশখালীর প্রায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় সী-ট্রাক সহ সবধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় বসবাসরতদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে যেতে মাইকিং করা হয়েছে।