Advertisement


পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয় মহেশখালীর কলেজ ছাত্র আরফাতকে


ফারুক ইকবাল।
বড় মহেশখালীর জাগিরাঘোনায় তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে হামলায় আহত কলেজ ছাত্র আরফাত এর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত আরও দুই জন চিকিৎসাধীন। ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিত ভাবে আরফাতকে খুন করা হয় বলে দাবি নিহতের পরিবারের।

সূত্র জানায়- গত ২৫ সেপ্টেম্বর (রবিবার) বেলা ১২টার দিকে বড় মহেশখালীর আলমগীর ফরিদ টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজ মাঠ সংলগ্ন জনৈক আবুল কাছিমের কৃষি জমিতে একই এলাকার শফর মল্লুকের পুত্র শাহ আলম ও সালাম মিয়া ড্রাইভারের বাড়ির একটি গরু ধানক্ষেতে ঢুকে ক্ষেত নষ্ট করে। এ নিয়ে উভয় পক্ষে বাকবিতন্ডা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানও হয়। পরে রবিবার রাত ৯টার দিকে আবুল কাছিম ও তার সন্তান সোহেল এবং ভাতিজা কলেজ ছাত্র আরফাত  স্থানীয় বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় আসার পথে শাহ আলম, ছালাম মিয়া ড্রাইভার ও বেশ কিছু নারীসহ সড়কের উপরই তাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। হামলায় আরফাত ও সোহেলকে মারাত্মক আহত হয়। আহত আরফাত এর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হয়। চট্টগ্রামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা অবস্থায়  মঙ্গলবার বেলা আডাইটার দিকে তার মৃত্যু হয়।

নিহত আরফাত জাগিরাঘোনা এলাকার  মোহাম্মদ জালাল উদ্দীনের পুত্র। সে বড় মহেশখালী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড় ছাত্রলীগের সভাপতি এবং মহেশখালী ডিগ্রি কলেজের একাউন্টিং অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র। এদিকে মেধাবী শিক্ষার্থীকে খুনের ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে এবং চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে মহেশখালী থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) প্রণব চৌধুরী জানান- সোমবার রাতে আরফাতের মা কহিনুর আকতার বাদি হয়ে এজাহার জমা দেন এবং নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। ঘটনার সাথে যুক্তদের গ্রেফতার করতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

এদিকে সর্বশেষ খবরে জানা গেছে -চট্টগ্রামে নিহতের মরদেহের এখনও ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়নি, কাল সকালে মরদেহটি মহেশখালীর বাড়িতে আনা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।