Advertisement


মহেশখালীতে নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলো শিশু ইলহাম


এম বশির উল্লাহ ও আব্দুল্লাহ শাহরিয়ার বাপ্পি।।  মহেশখালীতে মায়ের সাথে নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলো শিশু ইলহাম। মঙ্গলবার দিনের কোনো এক সময় মহেশখালী পৌরসভার পুটিবিলা মোশাররফ আলী পাড়ায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সংলগ্ন সড়কের পাশের পুকুরে পড়ে ৫বছর বয়সী এই শিশুটির মৃত্যু হয়। ২৭ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) টানা তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে শেষ দুপুরের দিকে শিশুটির মরদেহ পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়।

জানা যায়- মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়ন হরিয়ার ছড়া গ্রামের মোহাম্মদ শাহীনের পুত্র মোহাম্মদ ইলহামকে সকাল ১০টা থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। অনেক খোঁজাখোজি করেও শিশুটির সন্ধান না পেয়ে এলাকাবাসী পুকুরে পড়েছে বলে সন্দেহ করেন। বেলা দেড়টার দিকে শিশুটি পুকুরে পড়েছে মর্মে মহেশখালী ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি ইউনিট এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুকুরের পানিতে শিশুটিকে খোঁজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে পুকুরে জাল ফেলে টানা তিন ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে মৃত অবস্থায় শিশুটিকে পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। বেড়াতে এসে শিশুটির এমন মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

পরে বিকেল চারটার দিকে শিশুটির মরদেহ পৌরসভার নানার বাড়ি থেকে হোয়ানকের নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে এশার নামাজের পর হোয়ানক পশ্চিম হরিয়ার ছড়ায় শিশুটির নামাজে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

শিশুটির মা হালিমা আক্তার বলেন- হোয়ানক থেকে মহেশখালী পৌরসভার হাজী মোশরাফ আলী পাড়ায় নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে মঙ্গলবার ২৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে পুকুরে গোসল করার সময় পানিতে ডুবে তার সন্তান নিখোঁজ হয়। পরে সন্তানের লাশ পায় তারা।

এলাকার সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন জানান- হোয়ানকের হরিয়ারছড়া থেকে শিশুটি তার মায়ের সাথে আমাদের এলাকায় বেড়াতে এসেছিল। পরে পুকুরে পড়ে শিশুটির এমন মুত্যু আমাদের এলাকায় সবাইকে হতবাক ও মর্মাহত করেছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মহেশখালীর স্টেশন অফিসার প্রলুপ কান্তি সরকার বলেন- আসলে শিশুটি পুকুরে পড়েছে সকাল ১০টার দিকে,  কিন্তু দুর্ভাগ্য -আমাদের খবর জানানো হয়েছে বেলা ১টার সময়। আমারা বিষয়টি জানার পর দ্রুত পুরো ইউনিট নিয়ে এলাকার মানুষের সহযোগিতায় বড় জাল ফেলে উদ্ধার অভিযানে নেমে পড়ি এবং শিশুটিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করি। তিনি বলেন- যদি আরও আগে খবর দেওয়া হতো- তবে হয়তো হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার মাধ্যমে শিশুটিকে বাঁচানোর একটা সম্ভাবনা ছিলো।

এদিকে স্থানীয়রা বলছেন- প্রতিবছর কোনো না কোনো সময় এই ধরনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে প্রধান সড়কের পাশের এই পুকুরে। তারা প্রসাশনের কাছে পুকুরটি ভরাট করে এলাকাবাসীকে মৃত্যুর ঝুঁকিমুক্ত করার দাবি জানান। তাছাড়া এই পুকুরটির পাশেই একাধিক স্কুল থাকায় পুকুরটি ভরাট করা যৌক্তিক বলে মনে করেন তারা।